সময়টা বর্ষাকাল। অলস দুপুরে মাটির বাড়ির দাওয়ায় বসে আছে কিছু রমণী। তারা পান খাচ্ছে,গল্প করছে আর মাঝে রাখা পুরোনো অব্যবহৃত কাপড় সেলাই করে চলেছে। হাতের নিপুণতায় পুরোনো শাড়ি বা লুঙ্গিগুলো পাচ্ছে নব রূপ। তৈরি হচ্ছে কাঁথা। তাতে ফুটে উঠছে নানা কারুকাজ। এরই নাম নকশীকাঁথা। একটা সময় এটায় ছিল বাংলার চিরায়ত দৃশ্য। দিন পাল্টেছে, একসময় যা পরম মমতায় বোনা হত শুধু পরিবারের লোকজনের জন্য আজ তা বাণিজ্যিকভাবে বোনা হচ্ছে।
কাঁথার উৎপত্তি ও কাঁথা তৈরির পদ্ধতি
শীত আসি আসি করছে। অথবা হয়তো বাইরে টিপ টিপ করে ঝরছে বৃষ্টি। বাইরে চলছে হিমেল হাওয়া। এমন আবহাওয়াতে খিচুড়ি খেয়ে কাঁথা মুড়ি দিয়ে বেশ এক চোট ঘুমানোর স্বপ্ন দেখি আমরা সবাই-ই। কাঁথা যেন বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্দ অংশ। বইয়ের ভাষায় বলতে গেলে জীর্ণ-শীর্ণ বস্ত্র দিয়ে প্রস্তুত শোয়ার সময় গায়ে দেওয়ার উপযোগী শীতবস্ত্রকেই বলে কাঁথা। আর এই কাঁথায় সুতার কারুকাজে যখন ফুল-পাতা, চাঁদ বা জীবনের নানা আখ্যান ফুটে ওঠে তখনই তার নাম হয়ে যায় নকশী কাঁথা। কাঁথা আমাদের জীবনের অংশ। আমাদের ভালো লাগা, ভালবাসার নানা উপাখ্যানের বহি:প্রকাশ ঘটেছে প্রতিটি কাঁথায়। চর্যাপদের সময় থেকেই বাংলায় কাঁথা বেশ জনপ্রিয়। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন, রামায়ণ বা আধুনিক কালের বাংলা সাহিত্য কোথায় নেই কাঁথা? অথচ এই “কাঁথা” শব্দটা কিন্তু বাংলা না। এর উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ কঁথা থেকে। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই নকশী কাঁথা তৈরি করা হয়। অঞ্চল ভেদে অবশ্য বুনন কৌশল কিছুটা আলাদা। রাজশাহী, বগুড়া এবং কুষ্টিয়া অঞ্চলের কাঁথাগুলোতে জ্যামিতিক নকশা ও ফুল লতাপাতার ব্যবহারই বেশি দেখা যায়, সেলাইয়ের ফোঁড়গুলোও তেমন একটা সূক্ষ্ণ নয়। যশোর, ফরিদপুর বা খুলনার ওই অঞ্চলটাতে কিন্তু নকশী কাঁথায় মানুষ ও পশুপাখির মোটিফ বেশি ব্যবহৃত হয়।
প্রথমে পুরোনো শাড়ি বা ব্যবহৃত কাপড় স্তরে স্তরে সজ্জিত করা হয়। পুরোনো শাড়ির পাড় থেকে তোলা সুতো দিয়ে এবার চারদিক সেলাই করা হয়। আর মাঝেও বেশ ফাঁকা রেখে সেলাই করে নেওয়া হয়। এরপর এতে মনের মাধুরি মিশিয়ে নকশা এঁকে নেয় তারা। আস্তে আস্তে সময় নিয়ে সেসব নকশার উপর দিয়ে চলে সুতোর আঁচড়। নকশাগুলো হয়ে ওঠে জীবন্ত।
কাঁথা তৈরির নানা ফোঁড়
কাঁথার গায়ে নানা চিত্র ফুটিয়ে তোলার কাজটা করা হয় বিভিন্ন ধরণের ফোঁড়ের মাধ্যমে। কাঁথার সৌন্দর্য, অন্যদের কাছে এর আবেদন সবকিছুই নির্ভর করে ফোঁড়ের উপর। কাঁথা তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের ফোঁড়ের মধ্যে অন্যতম হল রান ফোঁড়, ডাবল রান ফোঁড়, ডারনিং ফোঁড়, বেঁকি ফোঁড়, বখেয়া ফোঁড়, ক্রস ফোঁড়, বোতামঘর, ডাল ফোঁড়, চেন ফোঁড়, ভরাট ফোঁড়, দোরোখা ফোঁড়, লিক ফোঁড়, চাটাই ফোঁড়, জালি ফোঁড়, হলবিন ফোঁড়, স্যাটিন ফোঁড়, হেরিংবন ফোঁড়, ডাবল হেরিংবন ফোঁড় ইত্যাদি। এসবের মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও প্রচলিত ফোঁড় হল রান ফোঁড়। টেকসই সেলাইয়ের জন্য আছে বখেয়া ফোঁড়। আবার বিভিন্ন ফুলপাতা আঁকতে ব্যবহৃত হয় চেন ফোঁড়। আউটলাইন স্পষ্ট করে তোলা হয় ডাল ফোঁড় দিয়ে। বিভিন্ন প্রকারের এসব ফোঁড় কাঁথার গায়ে ফুটিয়ে তোলে যাপিত জীবনের নানান কাহিনী।
নকশী কাঁথায় ব্যবহৃত নকশা:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুই একটা নকশা একরকম হলেও একই মানুষের তৈরি দুটো কাঁথাও কখনো হুবুহু এক রকম হয় না। পার্থক্য গড়ে দেয় নানা নকশা ও ডিজাইন। বলাই বাহুল্য নকশী কাঁথা তৈরিতে তাই অনেক নকশা ব্যবহৃত হয়। যেমন-
পদ্ম নকশা:
পদ্ম নকশা হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। এটি দ্বারা দেবী লক্ষ্ণীর প্রতীক, পবিত্রতা, মহাজাগতিক মিলন ও নারীর প্রয়োজনীয়তার প্রতীক এই নকশা। অষ্টদল থেকে শতদল নানা ধরণের পদ্ম নকশা দেখা যেত।
চন্দ্র নকশা:
জায়নামাজ কাঁথার অন্যতম উপাদান চন্দ্র নকশা। এটি মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতীক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবশ্য অর্ধচন্দ্রাকার নকশার সাথে তারার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেত।
সূর্য নকশা:
এটি হিন্দুদের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি জীবনের প্রতীক।
চাকা নকশা:
চাকা মূলত আদেশের প্রতীক। এটি হিন্দু ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির অংশ। এর দ্বারা অবশ্য সমগ্র বিশ্বকেও বোঝানো হয়।
স্বস্তিকা নকশা:
সংস্কৃত ভাষা অনুযায়ী স্বস্তিকা হচ্ছে শুভ কাজের প্রতীক। এটা মূলত ভাল ভাগ্যের প্রতীক হিসেবেই কাঁথায় ব্যবহৃত হত। শুধু হিন্দু ধর্মেই নয় বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মেও এই নকশার গুরুত্ব রয়েছে। এটি অবশ্য সিন্ধু সভ্যতার সমসাময়িক নকশা।
জীবনবৃক্ষ নকশা:
সিন্ধু সভ্যতার মানুষরা পিপুল বৃক্ষকে জীবন বৃক্ষ নামে ডাকত। পিপুল বৌদ্ধদের মধ্যেও জনপ্রিয়। তাদের মতে এই বৃক্ষের মাধ্যমেই দেবতা তার আসল শক্তি প্রকাশ করে। প্রকৃতির নবসৃজন প্রক্রিয়ার প্রতীক এই বৃক্ষ। এটি অনেক পবিত্র বৃক্ষ।
নানা ধরণের কাঁথা
বাড়িতে চলা কোনো বিয়ে বা উৎসবে অতিথিদের কাঁথা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হত। নতুন শিশুর আগমনের আনন্দে তৈরি হত ছোট ছোট কাঁথা। নরম কাপড়ের এসব কাঁথা বাচ্চাদের জড়িয়ে রাখত পরম মমতায়। এমনকি বিয়ের পর মেয়ের শশুরবাড়িতেও পাঠানো হত কাঁথা। এক কাঁথার কত শত রূপ। কখনো সে মায়ের মতো পরম মমতায় জড়িয়ে রাখে আবার কখনো প্রেমিকার মতো উষ্ণতা দেয়। প্রবাসে প্রিয়জনের হাতে তৈরি রুমাল কাঁথা হয়ে ওঠে স্মৃতিরোমন্থনের মাধ্যম। এমন আরো অনেক ধরণের কাঁথায় প্রচলিত দুই বাংলায় যেমন-
১. লেপকাঁথা:
শীতের হীমশীতল হাওয়া মোকাবেলা করতে প্রয়োজন হয় একটু মোটা আর চওড়া লেপকাঁথার। কিছুটা কম নকশা তোলা হলেও লেপকাঁথা কিন্তু ভীষণ আরামদায়ক।
২.নকশী থলে:
বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে পান খাওয়া এবং খাওয়ানো বাঙালির স্বভাব। এই পান সুপারি বহন করার জন্যও পাওয়া যায় নকশা তোলা বিভিন্ন থলে। এসব নকশী থলের সৌন্দর্য বিমোহিত করে সবাইকে। দশ ইঞ্চি লম্বা ও ৬ ইঞ্চি প্রস্থের এসব থলে অনেক সময় খাম হিসেবেও ব্যবহার করা হত। বাংলাদেশে একে খিচা নামে ডাকা হলেও পশ্চিমবঙ্গে এর নাম দুর্জনী।
৩.আসন কাঁথা:
চৌকস বা আয়তাকার এই কাঁথাগুলো মূলত বিভিন্ন পূজোর কাজে ব্যবহার করা হয়। বিয়ের আসরে বর কনে বা অতিথিদের বসতে দেওয়ার কাজেই মূলত এসব কাঁথা ব্যবহৃত হয়। এগুলোতে থাকে ধর্ম ও লোকসংস্কৃতির নানা উপকরণ। যেমন, কৃষ্ণ, লক্ষ্মী বা রথ।
৪.সুজনী কাঁথা:
বাসায় আসা অতিথিদের আপ্যায়নে সাধারণত ৬ ফুট দীর্ঘ এবং ৩ ফুট প্রস্থের সুজনী কাঁথা ব্যবহার করা হত। এসব কাঁথার তলায় শুয়ে শুয়ে বাড়িতে আসা অতিথিদের কাছ থেকে গল্প শুনত বাড়ির ছোটরা। আনন্দের আমেজে রাত কাটত সবার। এসব কাঁথার কেন্দ্রে থাকে পদ্ম। একে কেন্দ্র করে চারদিকে ছড়িয়ে পরে ডালপালা, লতাপাতা।
৫. দস্তরখানা:
আধুনিক টেবিলম্যাটের গ্রামীণ এবং প্রাচীন রূপ হল দস্তরখানা। আগেকার দিনে অতিথিদের খাওয়ার সময় দস্তরখানা বিছানো হত।
৭.আরশীলতা:
আয়না, চিরুনি ও নানা প্রসাধনী বহনের জন্য ব্যবহৃত হত আরশীলতা। সম্ভবত আয়নার আরেক নাম আরশী ও এই থলেগুলোর উপরে আঁকা লতাপাতার নকশা থেকেই হয়তো এর নাম হয়েছে আরশীলতা। এতে পদ্ম,কলকা ছাড়াও চাকফুল, কদমগাছ, চাঁদ-তারা, কৃষ্ণলীলার বিভিন্ন দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হত।
৮.মুতনি:
শিশুদের জন্মের পর তাদের নরম ত্বকের সুরক্ষায় প্রয়োজন হয় উষ্ণতা ও নরম কাপড়ের। এই চাহিদায় পূরণ করে মুতনি। এই কাঁথাগুলো অনেকটা তোয়ালের মতো। বাড়িতে আসা ছোট্ট অতিথিকে জড়িয়ে রাখে পরম মমতায়। লম্বা চওড়ায় তিনফুটের মতো হয় এই কাঁথাগুলো।
৯.ব্যটন বা ওয়াড় কাঁথা:
বালিশ বা লেপের কাভার হিসেবেও ব্যবহৃত হত কাঁথা। বালিশের কাভারের সাধারণ মাপ দুই ফুট বাই দেড় ফুট। এসব কাভারে ফুল পাতার নানা নকশা থাকত। এই নকশী কাঁথাগুলো বাঙালি নারীদের সৌখিনতার সাক্ষ্য বহন করে। এছাড়াও থাল বাটি ঢেকে রাখার জন্য ব্যবহার করা হত বেষ্টনী বা গাত্র কাঁথা।
১০. রুমাল কাঁথা:
আগেকার দিনে বাড়ির পুরুষরা কাজ করার জন্য গ্রাম থেকে দূরে দেশের অন্য প্রান্তে যেত। হয়তো বা পাড়ি জমাত অন্য দেশেও। তখন সঙ্গীর কথা মনে করে গ্রামের নারীরা বুনে চলত কাঁথা। বড় বড় কাঁথা বহন করতে সমস্যা হত বলে তারা প্রিয়জনদের জন্য বানাত রুমাল কাঁথা। আকারে মাত্র ১ ফুট হওয়ায় জিনিসপত্রের থলিতে খুব সহজেই জায়গা হত রুমাল কাঁথার। প্রবাসের একাকীত্বের রাতগুলোতে হয়তো পুরুষরা স্মরণ করত তাদের সঙ্গীনীদের। এতে আঁকা হত প্রজাপতি, পদ্ম, কলকা, লতাপাতা ইত্যাদি।
১১. গিলাফ:
বাঙালি রমণীরা খুব যত্ন করে তাদের ঘর সাজাতো। বাড়ির প্রতিটি জিনিসে তাদের এই যত্নের ছাপ দেখা যেত। পরম মমতার ছাপ তাই পাওয়া যায় কোরান শরীফ ঢেকে রাখার গিলাফেও। তিনদিক বন্ধ করে এক দিক খোলা রাখা হত। ফুল, লতা-পাতা, গম্বুজ ও মিনারের নানা রকম নকশা থাকত এসব গিলাফের উপর।
১২.জায়নামাজ:
আকারে লম্বা আকারের এই কাঁথাগুলো ব্যবহার করা হয় নামাজ পরার জন্য। এতে থাকত ফুল, লতাপাতা, মিনার ও গম্বুজের দৃশ্য।
১৩. নকশি চাদর:
শীতের সকালে মাঠে কাজ করতে গেলে দরকার হয় একটা চাদরের। এসব চাদর তৈরিতেও আগে পাওয়া যেত ভালবাসার ছাপ। এতে থাকত নানা ধরণের নকশা। চার ধার দিয়ে আঁকা হত পাড়। নান্দনিক এই চাদর গুলো আজ ও সবার দৃষ্টি কাড়ে।
কাঁথা ও ধর্ম
নকশী কাঁথার ডিজাইনে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রভাব সুস্পষ্ট। বিভিন্ন গল্প, লোকগাঁথা, গ্রামীণ পুঁথির চরিত্র,ধর্মীয় চরিত্র ফুটে ওঠে কাঁথা গুলোতে। হিন্দুদের কাঁথাগুলোতে বিভিন্ন দেব দেবী, রামায়ন মহাভারতের বিভিন্ন চরিত্রের প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিকে মুসলিমদের নকশায় থাকে ফুল পাতা, চাঁদ তারা, মসজিদ, মিনার গম্বুজের আধিক্য। তবে সবসময় যে নিয়ম মানা হত তা কিন্তু নয়। বেশিরভাগ সময়ই রমণীরা তাদের ইচ্ছা মতো ডিজাইনের কাঁথা তৈরি করত। এসব হয়তো চলে আসত বংশ পরম্পরায়। কেননা একটা কাঁথা তৈরিতে সময় লাগত অনেক। কখনো কখনো বছর পার হয়ে যেত একটা কাঁথা তৈরিতে। অনেক সময় ছোট ছোট রুমালে নকশার ছাঁচ তুলে রাখা হত। পরবর্তী প্রজন্ম সেটাকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলত। সমৃদ্ধ হত ডিজাইন।
নকশী কাঁথার বর্তমান মূল্য
আগেকার দিনে ছেঁড়া পুরোনো কাপড় জোড়া দিয়ে তৈরি এসব কাঁথা শুধু গরীবরাই বানাতো। মাঝে মাঝে উচ্চিবিত্ত বাঙালিরাও হয়তো টাকা বা খাদ্যের বিনিময়ে সৌখিন এসব কাঁথা বানিয়ে নিত। মূলত গৃহিনীরা দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া অবসর সময়টুকু কাজে লাগিয়ে এসব কাঁথা বানাত। এটা ছিল তাদের কাছে বিনোদন ও শান্তির উৎস। ধীরে ধীরে দিন পাল্টেছে। একসময়ের পরম মমতায় বোনা কাঁথা আজ বাণিজ্যিকভাবে তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের নানা জায়গায় এসব কাঁথা বানানো হচ্ছে। এসব কাঁথা আজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে সৌখিন দ্রব্য হিসেবে। একই ধরণের সেলাইয়ের পদ্ধতি ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে শাড়ি। এসব শাড়ি আবার অনেক দামে বিক্রিও হচ্ছে। বাড়িতে একটা নকশী কাঁথা থাকা আজকাল সৌখিনতার প্রতীক। একেকটা কাঁথা বিক্রি হয় প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায়।
নকশী কাঁথা শুধু কাঁথায় নয়। এতে আছে যাপিত জীবনের গল্প, আগেকার মানুষের সুখ দু:খ আনন্দের সাক্ষী এসব কাঁথা। বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা নানা গল্প বুকে নিয়ে আজ ও বাঙালির ঘরে ঘরে টিকে আছে নকশী কাঁথা। হয়তো টিকে যাবে আরো কয়েক যুগ।