যুদ্ধ বিগ্রহ যেন মানব জাতির একটি স্বভাবজাত বিষয়। প্রযুক্তির বিকাশের সাথে ধীরে ধীরে যদিও মানুষ নিজেদেরকে একটা সভ্যতার চাদরে মুড়িয়ে নিতে শুরু করেছে, তারপরেও মনের গভীরে সেই আদিম বন্য স্বভাবটা রয়েই গেছে। ফলশ্রুতিতে যে সভ্য মানুষের হাতে প্রযুক্তি পৃথিবীকে এগিয়ে নেয়ার হাতিয়ার, সেই মানুষই যখন সভ্যতার চাদর ছেড়ে বের হয় তখন সেটা পরিণত হয় ধ্বংস যজ্ঞের এক নির্মম উদাহরণ হিসেবে। এমনই এক উদাহরণ হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। উন্নত প্রযুক্তির সাথে মানুষের হিংস্রতা এই যুদ্ধকে পরিণত করেছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে।
চলুন জানা অজানার আজকের পর্বে আমরা এই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই।
বহুদিন হয়ে গেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু জাপান এবং রাশিয়ার মধ্যে এখনও কোন শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধচলাকালীন সময়ে ১৩-৭০ বয়সসীমার প্রায় ২ মিলিয়ন জার্মান নারী ধর্ষিত হয়েছিল সোভিয়েত রেড আর্মি দ্বারা।
রানী দ্বিতীয় এলিজাভেথ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি গাড়িচালানোর পাশাপাশি মেকানিকের কাজ করেছিলেন।
ইহুদি এবং মুসলিমদের শত্রুতা যেন চিরন্তন। কিন্তু এর বাইরের উদাহরণও কিন্তু আছে। যেমন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্যারিসের একটি মসজিদের কর্তৃপক্ষ ইহুদিদের মুসলিম আইডি কার্ড দিয়ে নাজি থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন।
১৯২৩ সালে সোভিয়েত পুরুষদের ৮০% ই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধচলাকালীন সময়ে মারা গিয়েছিলেন।
হিরোশিমা এবং নাগাসাকি দুইজায়গাতেই পারমানবিক বোমার পাল্লায় পড়েও ভাগ্যক্রমে বেচে ফিরতে পেরেছিলেন একজন জাপানিজ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধচলাকালীন সময়ে হিটলার যখন প্যারিসে আসেন, ফ্রেঞ্চরা আগে থেকেই আইফেল টাওয়ারের লিফটের ক্যাবল কেটে রেখে দিয়েছিলেন। যাতে করে হিটলার যদি আইফেল টাওয়ারের চূড়াতে উঠতে চায় তাহলে যেন তাকে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানদের চালানো গণহত্যায় প্রায় ১.১ মিলিউন ইহুদি শিশুদেরকে হত্যা করা হয়েছিল।
হিটলারের ইচ্ছা ছিল তিনি মস্কোর সব নাগরিককে হত্যা করে এবং সকল স্থাপত্য গুড়িয়ে দিয়ে সেখানে একটি কৃত্রিম সরবোর তৈরি করবেন।
আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা একবার হিটলারকে খাবারের সাথে ওষুধ মিশিয়ে নারীতে রুপান্তরিত করে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।
Pearl Harbor এ জাপানের আক্রমণের পর, যুক্তরাষ্ট্রেরও আগে কানাডা জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং নিউজিল্যান্ড গোপনীয়ভাবে বিশেষ “সুনামি বোমের” পরিক্ষা চালিয়েছিল যাতে করে তারা খুব দ্রুত উপকূলবর্তী শহরগুলোকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
পোল্যান্ডের প্রায় ২০% নাগরিক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধচলাকালীন সময়ে মারা গিয়েছিলেন।