Site icon খিচুড়ি

ক্রিস্টাল কিভাবে জমাট বাঁধে ?

স্ফটিক বা ক্রিস্টাল শব্দটা শুনেছ হয়তো। যে কোন কঠিন পদার্থ হটাৎ করে তৈরি হয় না। ধীরে ধীরে জমাট বাধে।ওই পদার্থের অনু পরমাণুগুলো প্রকৃতির এক নিয়ম মেনে একটার সাথে আরেকটা মিলে আস্ত জিনিসটা গড়ে তুলে।এটাকেই ক্রিস্টাল বলে। আমাদের চারিপাশে যা দেখছি সবই ক্রিস্টাল। লবণ হতে শুরু করে তুষারের বরফ। সব। কিছু কিছু ক্রিস্টাল তৈরি হতে কোটি কোটি বছর লাগে। যেমন – হীরা।
প্রকৃতিতে অনেক রকম ক্রিস্টাল পাওয়া যায়। হরেক রকম খনিজ পদার্থ ক্রিস্টালের মত জমে সুন্দর মনি মানিক্য তৈরি করে। যেমন ২০০০ সালে মেক্সিকোতে ক্রিস্টালের গুহা আবিষ্কার হয়েছে, জিপসামের ক্রিস্টাল। প্রায় ১০ লক্ষ বছর ধরে জিপসাম জমে জমে অমন সুন্দর গুহাটা হয়েছে। কত টুরিস্ট সেটা দেখার জন্য যায়। আলো পড়লেই সুন্দর ঝিলমিল করে উঠে।
ক্রিস্টালের গঠন জানার জন্য বা কিভাবে ক্রিস্টাল গড়ে উঠে সেটা জানার জন্য সহজ পরীক্ষা করব। নাহ। এই পরীক্ষার ফলাফলের জন্য হাজার বা লক্ষ বছর অপেক্ষা করতে হবে না। আমাদের যা লাগবে তা হল-
১। পরিষ্কার একটা কাচের বয়াম।
২। আধা কাপ গরম পানি।
৩। আধা কাপ লবণ।
৪। খাবারের রঙ। থাকলে ভাল, না হলে ও চলবে।
বড় একটা বাউলে করে গরম পানি আর লবণ নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে ফেল। চামচ দিয়ে নাড়তে থাক যতক্ষণ না সব টুকু লবণ মিশে যায়। দুই এক ফোঁটা খাবারের রঙ দাও সাথে। মিশানো হলে বয়ামে ঢাল। সুতায় বেঁধে একটা পেপার ক্লিপ ঝুলিয়ে দাও বয়ামের উপর। সুতায় বাঁধা ক্লিপ জাতে বয়ামের ভেতরে পরে না যায় সেই জন্য কলম বা পেন্সিলে বেঁধে বয়ামের উপর আড়াআড়ি ভাবে রেখে দাও। ঠাণ্ডা হলে ফ্রিজে রেখে দাও বয়ামটা। এতে খুব দ্রুত পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে। ফ্রিজ না থাকলে ঘরের নির্জন কনে রেখে দিলেও চলবে।
যদি ফ্রিজে রাখ তবে কিন্তু মাত্র ৩ ঘণ্টা পরই ফল পাবে। বয়াম বের করে আতশি কাচের সামনে এনে দেখ। কি সুন্দর ছক্কা ছক্কা করে জমাট বেঁধে গাছে লবণের দানাগুলো , চিনি দিয়েও এই পরীক্ষা করা যায়। সেটা জমে মিছরি হয়ে যাবে। ফ্রিজে না রাখলে পুরো পরীক্ষা শেষ হতে ছয় থেকে দশ দিন লাগতে পারে। অপেক্ষা কর। রোজই দেখ আতশি কাচের মধ্যে দিয়ে।
এটাই ক্রিস্টাল জমাট বাঁধার রহস্য। পৃথিবীর চারিদিকে কোটি বছর ধরে এই ভাবেই জমাট বাঁধছে সব কিছু। দারুন না ?
Exit mobile version