খাদ্যচক্র

প্রতিটা জীবন্ত প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য শক্তির দরকার।
শক্তি দিয়ে কি করবে ?
নড়াচড়া করতে শক্তি দরকার, হাঁটতে গেলে শক্তি দরকার, দৌড় ঝাপ
করতে হলে শক্তি দরকার। মোট কথা বেঁচে থাকতে হলে শক্তি লাগবেই লাগবেই।
এমন কি আমরা বুড়ো হতে থাকলে আমাদের শরীরের কোষগুলো ক্ষয় হতে থাকে। এই ক্ষয় প্পরনের জন্যও আমাদের শক্তি দরকার।
আর জীব জন্তু শক্তি পায় খাবার থেকে।
যে কোন জীবিত প্রাণী শক্তি পায় খাবার থেকে।
গাছপালা এই দিক দিয়ে বেশ কাজের । সূর্যের আলো, পানি আর মাটির খনিজ
পদার্থ থেনে নিয়ে নিজের খাবার নিজেই বানায়।
কিন্তু সবাই তো পারে না।
যেমন তুমি যদি কয়েক গ্লাস পানি খেয়ে সারাদিন রোদে বসে থাকো
তবে কি তোমার পেট ভরবে ?
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন জীব জগতের একটা বিচ্ছিরি নিয়ম আছে। সেটা হল-
পেট ভর্তি করার জন্য একে অপরকে খেয়ে বাঁচে।
যেমন ধর- মাঠে কত সুন্দর সবুজ ঘাস হয়।
নানা রকম মাশরুম আর ফ্যাঙ্গাস হয়।
বিচিত্র ধরনের হরেক রকম পোকা মাকড়যেমন – শুয়ো পোকা, ফড়িং বা ঘাস ফড়িং এই সবুজ ঘাস,মাশরুম আর ফ্যাঙ্গাস খেয়ে বেঁচে থাকে ।
আবার পাখী এই সব পোকা মাকড় আর ঘাসের দানা খায়। বা ব্যাঙ এসে পোকা মাকড় ধরে মজা করে খায়।
খরগোস পোকা খায় আবার ঘাস খায়।
ইঁদুর এসেও পোকা খায়।
মাঝে সাপ বাবাজি এসে হাজির হয়। সাপ কি করে ? পোকা খায়। ব্যাঙ খায়।
আবার ইঁদুর ও খায়।
মাঠের মধ্যে লাল রঙের খেঁক শিয়াল হাজির হয়। ও কি করে ? খরগোস আর ইঁদুরদের খেয়ে ফেলে।
সোনালী রঙের বাজ পাখী আসে মাঠে। ও ইঁদুর খায়। ছোট পাখী , সাপ, খরগোস
আর কাঠ বিড়ালীদের খায়।
মাঠে গরু ছাগল যায় মনের সুখে ঘাস খেতে।
ঘাস খেয়ে শরীর স্বাস্থ্য ভাল হলে মানুষ ওদের নিয়ে সুন্দর রান্না করে ভুনা ভুনা
করে খেয়ে ফেলে।
মুরগী ,পাখী পোকা মাকড় বা শস্য দানা খেয়ে বাঁচে। মানুষ ওদের খায়।
নদী বা সাগরে ও এমনটা হয়। সূর্যের আলোতে শ্যাওলা বেঁচে থাকে নদী বা সাগরে। শ্যাওলা খেয়ে
কুঁচ চিংড়ি বেঁচে থাকে । চিংড়ি খায় পিচ্চি মাছেরা। বড় মাছেরা পিচ্চি মাছদের খায়। আর মানুষ গিয়ে সেই বড় মাছ গুলো ধরে খায়।
খেয়াল করলে দেখতে পাবে এই খাওয়া দাওয়া চলতেই আছে।
আর বিজ্ঞানীরা একে বলে ফুড চেইন।
যত বাজে বা বিচ্ছিরি ব্যাপার মনে হউক না কেন এটা খুব সাধারণ একটা জিনিস।