খাবার নিয়ে আবার

*প্রাচীন গ্রীসে মেজবান প্রথমে ওয়াইনের গ্লাসে চুমুক দিতেন । প্রমান করতেন ওয়াইন বিষাক্ত না।
*সবচেয়ে পুরানো ওয়াইনের বোতল পাওয়া গেছে জার্মানিতে। ৩২৫ সালের।
*ফ্রান্স, ইটালি। স্পেন এর ক্যালিফোনিয়াতে সবচেয়ে বেশি ওয়াইন তৈরি হয়।
*এক বোতল ওয়াইন বানাতে ২,২৭ কেজি আঙুরের দরকার হয়।
*টমেটো, শশা , জুকিনি(zucchini) , ক্যাপসিকাম এইগুলো সব ফল, সবজী না। মানে আগে লোকজন এমনটাই ভাবতো। ১৮৯৩ সালে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়-এ গুলো আসলে সবজী, ফল না। ওদের যুক্তি এই জিনিসগুলো তো ডিনারে খাই ।এইসব দিয়ে তো আর কেক পুডিং
বানানো হয় না। কাজেই ফল হয় কি করে ? অ্যা ?
*টমেটো কেচাপ আবিস্কার করেছিলেন এক ইংরেজ নাবিক। তখন মোটেও টমেটো দিয়ে বানাত না এটা। সয়াসস, ফিশ সস আর অয়েস্তারশেয়ার সস এই রকম হাবিজাবি মিশিয়ে বানাত। ১৭০০ সালের পরে এতে টমেটো মেশানো শুরু করে।
*সুপ অনেক পুরানো খাবার। প্রায় ৬ হাজার বছর আগে থেকেই চলত। জলহস্থির সুপ ছিল সেটা।
*কোকার দানা একসময় মুদ্রা হিসাবে ব্যবহার করা হত।
*ম্যাক ডোনালড প্রতি সেকেন্ডে ৭৫টা করে হ্যামবার্গার বিক্রি করে।
*১৮০০ সালে টমেটো কেচাপ ডাইরিয়ার ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হত।
*সবচেয়ে দামি ফল জাপানি কালো তরমুজ। দাম- ৬১০০ আমেরিকান ডলার। সাইজে আমার মাথার সমান।
*আপেল পানিতে ভাসে। কারন আপেলের ২৫% বাতাস ভর্তি।
*ইটালিয়ান খাবার মানেই টমেটো দেয়া। থাই খাবার মানেই বাদাম দেয়া আর ইনডিয়ান খাবার মানেই মরিচ তাই না ?
১৪৫০ সালের আগে কিন্তু তা ছিল না। কারন এই জিনিসগুলো সারা দুনিয়ার মানুষ চিনতোই না। ১৪৯২ সালে কলম্বাস আমেরিকা
আবিস্কার করেন সেই সাথে নতুন আবিষ্কৃত ভূখণ্ড থেকে নিয়ে আসেন অদ্ভুত সব নতুন খাবার। ভুত্তা,আলু, টমেটো,ক্যাপ্সিকাম,মরিচ, ভ্যানিলা, তামাক,কুমড়া, কাসাভা, আভকাডো, বাদাম, আনারস,ব্লু- বেরি, সূর্যমুখি ফুলের দানা, লাউ, বুনো ধান , কোকা, শিম, এবং আরও বহু কিছু। মোদ্দা কথা কলম্বাস সাহেব বেশ কাজের কাজ করেছেন।
*সারা পৃথিবীতে যে পরিমাণ ফসল আমরা ফলাই প্রায় অর্ধেক নষ্ট করি,ফেলে দেই বা অপচয় করি।
*মধু কখনই পচে না। প্রায় ৩০০০ বছর পযন্ত ভাল থাকে। স্বাদ নষ্ট হয় না।
*বিমানে যে খাবার দেয়া হয় তা কখনই খেতে ভাল লাগে না। কারন উঁচুতে উঠলে আমাদের স্বাদ এবং ঘ্রান নেয়ার ক্ষমতা ২০ থেকে ৫০ ভাগ কমে যায়।
*আমেরিকাতে বেশির ভাগ শিশু খাবার নিয়ে অ্যালারজিতে ভোগে। চিকিৎসা নিতে প্রায় ২৫ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার খরচ হয়।
*আমেরিকানরা স্যান্ডউইচ প্রিয় জাতি । ৪৯% আমেরিকান রোজ একটা করে স্যান্ডউইচ খায়।
*ইনডিয়াতে সবচেয়ে কম মাংস খাওয়া হয়।
*কোরিয়াতে জ্যান্ত অক্টোপাস খায়।
*প্রতি সেকেন্ডে আমরা প্রায় ১৭৭৬ টা প্রাণী খুন করছি। খাওয়ার জন্য।
*কেনটাকিতে প্যান্টের পেছন পকেটে আইসক্রিম নেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ।
*Mageirocophobia একটা রোগ। এই রোগীরা রান্না করতে ভয় পায়।
*মুক্তো ভিনেগারে গলে যায়।
*প্রাচীন কালে এক ধরনের গাছের বাকল চিবুত গ্রিসের লোকজন। কালক্রমে ওটাই
চুইং গাম।
*মৌমাছিরা এক পাউনড মধু ২০ লক্ষ ফুল থেকে যোগার করে।
*পৃথিবীতে ৮০০০ বিভিন্ন প্রজাতির আঙুর হয়।
*সারা দুনিয়ায় ৭০০০ বিভিন্ন ধরনের আপেল আছে।
*ইংরেজি অনিয়ন মানে পেঁয়াজ শব্দটা এসেছে ল্যাতিন ভাষা থেকে। এর মানে হচ্ছে বড় মুক্তো।
*৩ মিনিটে ১৩৩টা আঙুর খেয়ে রেকড করেন ইংল্যান্ডের ম্যাট হ্যান্ড নামে এক ভদ্রলোক। ২০০১ সালের কথা। বেশ দ্রুতই বলা যায়।
*১০ হাজার প্রজাতির টমেটো আছে। খারাপ কি ?
*কলা নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা হয়। কলার খোসায় পা দিয়ে পরে বছরে ৩০০ এর মত দুর্ঘটনা ঘটে ইংল্যান্ডে।
*সবচেয়ে বেশি পানি আছে শসাতে। ৯৬% ভাগই পানি।
*বেগুনি রঙের গাজর বেশি জনপ্রিয়।
*তরমুজের ৯২% ভাগই পানি।
*৯ হাজার বছর আগেই মেক্সিকানরা কুমড়ার চাষ করত।
*জাপানে চারকোণা তরমুজ পাওয়া যায়। দাম-৮৫ ডলার ।
*৬০০ এর বেশি ডিজাইনের পাস্তা পাওয়া যায় সারা দুনিয়ায়।
* অক্টোবর মাস জাতীয় পাস্তা মাস।
*সুইটজারল্যান্ডের লোকজন চকলেট বেশি খায়,
*আইসক্রিম বানাতে সমুদ্রের শ্যাওলা ব্যবহার করা হয়।
*একজন আমেরিকান সারা জীবনে ২৮ টার মত শুয়োর খায়। একা।
*Worcestershire সস anchovies মাছ ভিনেগারে ডুবিয়ে রেখে পচিয়ে বানায়।
*আলু ভাঁজা মানে ফ্রেঞ্জ ফ্রাই বেলজিয়ামে প্রথম চালু হয়। তবে আজকাল আমেরিকায়
সেটা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
*ইংল্যান্ডে ৩০০ মিলিয়নের বেশি ফিস অ্যান্ড চিপস বিক্রি হয় প্রতি বছর।