প্রায় সকল ছবির পেছনেই লুকিয়ে থাকে কোন না কোন গল্প। নিছক মজা করে তুলা ছবিও একসময় হয়ে উঠে স্মৃতির মহামূল্যমান সম্পদ। সে স্মৃতি কখনও হয় আনন্দের আবার কখনও দুঃখের কখনও আবার হয়ে উঠে কোন ঐতিহাসিক মুহূর্তের দালিলিক প্রমাণ। একটা নিষ্প্রাণ ফ্রেমের অন্তরালে মাঝে মাঝে এমন কিছু গল্প প্রাণবন্ত হয়ে উঠে যে, যা দেখে চমকে উঠতে হয়। আজকে আমি এমনি কিছু ছবি তুলে ধরব এখানে যা এমনিভাবে চমকে দিয়েছিল পুরো পৃথিবী।
সতর্কতাঃ দুর্বল চিত্তের মানুষদের ছবিগুলো দেখার ব্যাপারে সতর্ক থাকার অনুরোধ রইল ।
কসোভোর রিফিউজি
উপরের ছবিতে যে বাচ্চাটিকে দেখছেন তার নাম আজিম শাল্লা (Agim Shala) । বাচ্চাটির বয়স তখন মাত্র দুইবছর। ছবিটি তোলার সময় তাকে কাটাতারের বেড়ার মধ্য দিয়ে আলবেনিয়ায় কসোভোর রিফিউজি ক্যাম্পে তার পরিবারের কাছে পাঠানো হচ্ছিল।
এই মর্মস্পর্শী ছবিটি তোলার জন্য প্রথম মহিলা ফটোগ্রাফার হিসেবে পুলিতজার পদক জিতে নেন ছবিটির ফটোগ্রাফার Carol Guzy।
পায়ের নিচে যুদ্ধচিহ্ন
ছবিটি যুদ্ধবিধস্ত লাইবেরিয়ার। রাজধানী শহর মনরোভিয়া থেকে তোলা ছবিটিতে রাস্তার মধ্যে সারি সারিভাবে পড়ে বুলেটের খোসাগুলো সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলা যুদ্ধের সাক্ষ্যবহন করছে।
লস এঞ্জেলেস টাইমস এর ফটোগ্রাফার ক্যারোলিন কোল লিবিয়ার গৃহযুদ্ধকালীন সময় এই ভয়াবহ ছবিটি তোলেন।
থাইল্যান্ডের গণহত্যা
তারিখটা ছিল ১৬ই অক্টোবর ১৯৭৬। কুখ্যাত স্বৈরশাসক এফ. এম. টি. কিত্তিকাচর্ন তখন পুনরায় ক্ষমতা থাইল্যান্ড এর ক্ষমতা দখলের তালে আছেন। এইসময় তাঁকে প্রতিহত করতে আন্দোলনে নামে থমাসসেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এর পরিণামে তাদের উপর নেমে আসে ভয়াবহ জুলুম আর নির্যাতন। আন্দোলনকারীদেরকে পিটিয়ে, গুলি করে, গলায় দড়ি বেঁধে গাছে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় অগণিত লাশ।
ঝড়ের শেষে
উপরের ছবিটির শিরোনাম “After the Storm” বা ঝড়ের শেষে। ছবিটি হাইতিতে আঘাত হানা ঝড় হান্না এর পরপরই তোলা।
সুনামীর পরে
ভারত মহাসাগর থেকে সৃষ্ট একভয়াবহ সুনামী আঘাত হানে ভারতের তামিল নাড়ু সহ অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে একজন ভারতীয় মা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আহাজারি করছে। তাঁর ঠিক পাশেই পড়ে আছে ভয়াবহ সুনামীর আঘাতে মারা যাওয়া কোন এক আত্মীয়ের লাশ।