বাতাস কি করে বয়ে যায়

বিকেলে বাগানে গিয়ে বসলে অবাক হতাম। সারাক্ষণ শন শন করে বাতাস বয়।
বেশ ফুর ফুরে। শুকনো পাতা, পাখীর পালক সব উড়ে যায়।
বাতাস কি করে বয়ে যায়? 
বাতাস নিজে নিজে বয়ে যেতে পারে না। সূর্যের কারনে বাতাস সারাক্ষণ বয়ে যায়।
সূর্যই সারাক্ষণ বাতাসকে দৌড়ে বেড়ায় চারিদিকে। তোমরা জানো পৃথিবীর আকার
গোল । কাজেই সূর্যের তাপ পৃথিবীর সব জায়গায় সমান ভাবে পরে না।
কোন জায়গায় বেশি পরে আবার কোন জায়গায় কম পরে।
যেখানে বেশি পরে সেই জায়গাটা বেশি গরম হয়ে যায়। ফলে ওখানের বাতাস ও গরম হয়ে যায়। গরম বাতাস ওজনে হালকা। আর ঠাণ্ডা বাতাস ওজনে ভারি। বাতাস গরম হয়ে উপর দিকে উঠে গেলে সেই জায়গা শূন্য হয়ে যায়। সাথে সাথেই ঠাণ্ডা বাতাস নীচের দিকে নেমে আসে জায়গা দখলের জন্য।
আর এই জন্যই বাতাস এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাচল করে। সমুদ্রের বাতাস চলে আসে মাটির দিকে। আবার মাটির দিকের বাতাস চলে যায় সমুদ্রের দিকে।
ব্যাপারটা পরীক্ষার জন্য তত বেশি কষ্ট করতে হল না।
সুন্দর একটা কাগজ নিয়ে প্রথমে নীচের ছবির মত চার ভাগ করলাম।পেন্সিল দিয়ে দাগ দিয়ে নিলাম যাতে সুবিধে হয়। কাঁচি দিয়ে দাগ মত কেটে আঠা দিয়ে জোড়া দিতেই পাখা হয়ে গেল। উইন্ড হুইল বলে একে। একটা কাঠির সাথে আলপিন দিয়ে গেঁথে নিতেই তৈরি এটা।
বাগানে বাতাসের সামনেই ধরলে ফর ফর করে ঘুরতে থাকে পাখাটা।
কিন্তু সেটার দরকার নেই।
আমি পরীক্ষা করব গরম বাতাস বয়ে যায় কি করে।
আমার গবেষণাগারের ভেতরে টেবিল লাম্প জ্বালালাম। (তোমাদের টেবিল লাম্প
না থাকলে একটা মোমবাতি হলেও চলবে।)
এবার টেবিল লাম্প (মোমবাতির) -এর উপর খানিক দূরে উইন্ড হুইলটা ধরলাম।
বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হল না। নিজে থেকেই পাথাটা ঘুরতে লাগল।
কারন টা কি বলতে পারবে?
ঠিক ধরেছ। তাপের জন্য বাতাস গরম হয়ে যাচ্ছে। গরম বাতাস উপরের দিকে উঠে যেতেই হাঁটে ধরা পাখাটা ঘুরতে শুরু করছে।
তাপের উপর থেকে দূরে সরিয়ে নাও। পাখা চলা বন্ধ হয়ে গেছে।