বরাবরের চিঠি

জীবন তুমি জনকন্ঠের কম্পনে ভেঙ্গে দিও সেই মঞ্চ। সেদিনও হয়তো আমি বোবা আঁধারে জনমিছিল সমুদ্রে  দাঁড়িয়ে, একই চাঁদ দেখবো। তখনও নির্বোধ হবো কি ? নাকি বোধের অভ্যাস আমার কখনোই হবে না । নীল আমি দুধে মিশেল জল না হলে, নিশ্চিত সুরার লাইনে দাঁড়াবো না। দস্তখৎ বিহীন কাগজ আমার,সাগড় শুকায়ে মরুভূমি হয়ে যায়। তৃষ্ণায় আমায় অন্তত এক কৌটা জল দিও!! যোগান, চাহিদার রাজনিতী আমি জানি না, যা জানি এই ব্যাবচ্ছেদ তোমার। সবাই যদি ক্ষ্যাতির দেবতার পূজা করে তো চরিত্রের পিশাচদের ভর করে পিচাশ হবে কে? অপরাধে আমার আক্ষেপ নয় ঈশ্বর। তোমার হাতে অনুরোধ করছি, এক আকাশ না হয় অন্তত জন খানেক বাতায়নের একলা কারাগার দিও আর এই স্বার্থপরের যোগাযোগ অবিলম্বের আরও একবার ক্ষমা।   আজ এই অবদি থাক। আশির্বাদ করো  নিতীহীন হয়ে, যেন তোমার চেয়ে ভালো থাকতে পারি।

কিছু মনে করো না, অতদূর যাবার ভাড়া আমার নেই। তাই সূর্যালোকের হাতে চিঠিটা পাঠালাম। ভালো থাকো জেনে সবসময় নিশ্চিন্ত থাকি।

ইতি
সেদিনও যদি আমায় ভালবাসো
তোমার,
“তুমি” ।।