Site icon খিচুড়ি

স্কেচ, তুমি কিংবা একটি অপ্রেরিত চিঠি

তুমি আমার বরাবরই প্রিয় ছিলে,তাই আর আলাদা করে লিখলাম না। ভালো আছো? নাকি এখনো আগের মতো কেবল চেষ্টাই করছো। চারটে বছর কেটে গেছে, আমি সময়ের অভ্যেসে মিশে আছি বেশ। তখনও সময় ক্লান্তি দেখেনি। দেখেছিলাম আমি। আমার চোখে এখনো তার ছাপ দেখা যায়। তোমার অভ্যেসের সাথে কখন যে ভোরের প্রেমে পরেছিলাম, কখন যে কাকের সাথে বন্ধুত্ব পাতি আজো টের পাইনি। গত চার বছরে টালি অফিসের চৌরাস্তাও খুব বদলে গেছে। টঙ্গে এখন ইট সিমেন্টের আবরন পরেছে। আমার ন’টাকায় কেনা সুখের দাম বেড়েছে পাঁচ, তোমার মুখের আদলের মতই।
জানো? এখনও রাত নয়টার অভ্যেস আমি ছাড়তে পারিনি। নিজের মতো করে ঠোটের গোড়ায় সুখ ছোঁয়াবার অভ্যেস, ওর ধূসর মেঘে তোমার ওপর অভিমান ছোড়ার অভ্যেস। তুমি জানো ? না তুমি জানো না, জানবেও না। কখনো জানতে না। এখন আর গান গাওয়া হয় না। তোমায় নিয়ে লিখা জলপদ্ম যে সত্যি ভেসে যাবে তা ভাবিনি কখনো। এখনো আরিচা মনের ভুলে মাওয়া ঘাট হয়ে যায়। বাসের শব্দ গিয়ে শেষ হয় রয়েলের মোড়ে। এখনো সবুজ দেয়াল এঁকে দেয় ফেরিঘাট মোড়ের মানচিত্র। এই চার বছরে ডায়রি লেখার অভ্যেস হয়ত তোমার এখনো আছে, শুধু বদলে গেছে বিষয়বস্তু। তখন কিন্তু আমি ছিলাম ডায়রির ছেড়া পাতায়। যেমন আজও আছি পরে। জানো, ছোট থেকেই অংকে খুব কাঁচা ছিলাম, উচ্চমাধ্যমিকে লেটার পেয়েও টাইটানের সাদা চাঁদর বদলানোর হিসেব আমি মেলাতে পারিনি; তোমার চুলের অংক কষেছিলাম খুব তাই হয়তো। এই চার বছরে গানের প্লে লিস্ট বদলে গেছে। প্রথম দেখার রুপসা ব্রীজ নিয়ে গানও লিখেছি। আমি বেমালুম ভুলেগিয়েছি সোনাডাঙ্গায় তোমার শেষ তাকানো অভিমান। কেবলই শেষ করলাম তোমার স্কেচটা। তখন পারিনি কারন, তুমি ছিলে।

আজ এই অব্দি থাক। গেলাম। ফের তোমায় নিয়ে কোথাও বের হলে লিখবো ক্ষন।

Exit mobile version