কুরআন থেকে বলছি -১

সেই মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি , যিনি আপনাকে আমাকে তথা সমস্ত কিছুকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর আপন কুদরতের ছোঁয়ায় ; এই পৃথিবীর সমস্ত নাজ নেয়ামত ভোগ করার জন্য এবং একমাত্র তাঁর ইবাদত-বন্দেগি , উপাসনা ও গুনগান করার জন্য । কি মনে হচ্ছে ? আমি কি কিছু ভুল বললাম ! কিংবা একটু বাড়িয়ে ? মানতে চাচ্ছেনতো ? নাকি সন্দেহের পুকুরে নিমজ্জিত হয়ে গেলেন । যাদের কাছে এরূপ ঠেকছে কিংবা যারা ভাবছেন , এতো জানাই আছে ; তাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা – আমরা কতটুকু ইবাদত করছি মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ? আর কেনইবা শুধু তাঁরই ইবাদত করতে হবে ! অন্য কারো নয় কেন ? আসুন দেখা যাক , এ প্রসঙ্গে মহাগ্রন্থ আলকুরআন কি বলে –

এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেন , ” হে মানব সমাজ ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ইবাদত কর , যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন ।” ( সূরা: বাকারা, আয়াত: ২১ ) – এর থেকে প্রমাণিত হয় যে, মহান আল্লাহ আমাদেরকে কেবল একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য বলেছেন । আসুন এ সম্পর্কে একটি ছড়া জেনে আসি –

“শুরু করছি প্রভুর নামে যিনি করেছেন সৃষ্টি , এই পৃথিবীর ফুল-ফসল যেদিকে দেই দৃষ্টি । সবখানেই তিনি আছেন স্বীয় মহীমায় সমাসীন , ইবাদত শুধু তাঁরই জন্য তিনিই রাব্বুল আলামিন”

অতএব, আমাদের উচিত আল্লাহর সমকক্ষ হিসেবে আর কোন দ্বিতীয় ব্যক্তিকে মেনে না নেওয়া । এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন , ” সে পবিত্র সত্তা (আল্লাহ) তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন , আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উত্পাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসেবে । অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাকেও সমকক্ষ করোনা ।” (সূরা: বাকারা, আয়াত: ২২)