আগে আমরা একটা পরীক্ষা করি।
একদম একই সাইজের দুটো কাঁচের বোতল দরকার হবে আমাদের। কাঁচের বয়াম হলেও চলবে। কিন্তু একই সাইজের হতে হবে। বড় ছোট হলে পরীক্ষার ফল ভাল হবে না।
কাঁচের বয়াম বা বোতলদুটো গরম পানি দিয়ে ভর্তি করতে হবে। খুব গরম না। তাহলে
সাথে সাথেই কাচ ভাঙ্গে যেতে পারে।
এই পরীক্ষার জন্য আমাদের হাতে যদি একটা থার্মোমিটার থাকে তাহলে খুবই ভাল হয়।
তাহলে একদম কাঁটায় কাঁটায় ফল পাওয়া যাবে। থার্মোমিটার না থাকলেও সমস্যা নেই।
এখন গরম পানি ভর্তি বয়াম বা বোতলের একটা উলের কাপড় দিয়ে ভালমত
ঢেকে নাও। আরেকটা খোলাই রাখ।
ঘরের এককোণে রেখে দাও দুটোই। ঠাণ্ডা হওয়ার সময় দাও।
আধা ঘণ্টা পর থার্মোমিটার দিয়ে দুই বোতলের তাপমাত্রা মাপ।
যদি থার্মোমিটার না থাকে তবে আলত করে হাত দিয়েই ধরে দেখ কোন বোতল কেমন গরম ?
কোনটা বেশি গরম ?
যেটা উলের কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল সেটা বেশি গরম তাই না ?
কারণটা কি জানো ?
যে বোতলটা উলের কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল না সেই বোতলটাতে সরাসরি বাতাস এসে লাগছিল। আর অল্প অল্প করে বাতাসের সাথে তাপমাত্রা হারিয়ে ফেলছিল।
অন্য বোতলটা উলের কাপড়ে মোড়ান থাকায় সরাসরি বাতাসের সংস্পর্শে আসেনি।
গরম তাপ নিজের মধ্যেই ধরে রাখতে পেরেছে। সব তাপমাত্রা হারিয়ে ফেলেনি।
সেই জন্য খোলা বোতলের মধ্যে এত বেশি ঠাণ্ডা হয়ে যায়নি।
শীতের দিনগুলোতে আমরা এই জন্য পাতলা জামা কাপড়ের উপর আবার উলের কাপড় গায়ে দেই।
এই একই কায়দা করে উলের কাপড় বাইরের ঠাণ্ডা থেকে আমাদের রক্ষা করে। শরীররে তাপ হারিয়ে যেতে দেয় না।
শরীরের তাপ হারায় না বলেই শীতে আমরা কাবু হয়ে পড়ি না।
উলের কাপড় পড়লে গরম লাগে কেন ?
Loading books...