- মহাকাশের আবর্জনা
- বরফ কেন পানিতে ভাসে
- শূন্য জায়গায় কি থাকে ?
- উড়ে যাওয়া মেঘের গল্প
- বাতাস কি করে বয়ে যায়
- বীজ থেকে চারা
- ভাসমান ডিম ডুবে যাওয়া ডিম
- ক্রিস্টাল কিভাবে জমাট বাঁধে ?
- এস্কিমোদের কথা
- গুহামানবের খাবার
- খাদ্যচক্র
- নিউটনের আপেল রহস্য
- বদলে যাবার গল্প
- খাবারে বিষ
- আর্কিমিডিস রহস্য
- আবহাওয়ার খোঁজ খবর
- ফাঙ্গাসের কথা
- আলো ভুবন ভরা
- উলের কাপড় পড়লে গরম লাগে কেন ?
- সবুজ পাতা অক্সিজেন বানায়
- বিজ্ঞানী হতে চাইলে…
- ঘ্রান রহস্য
- রঙ রহস্য
- নীল সাগরের অজানা দানব
- পাতা ঝরার দিন
- বৃষ্টি মাপার যন্ত্র
- কমলালেবু কি পানিতে ভাসে ?
- পৃথিবীর জন্য ভালবাসা
চারিদিকেই রঙ। বাগানের গোলাপ লাল। মাঠের ঘাস সবুজ। ইশকুলের দালান বাড়িটা সাদা । সূর্যমুখী ফুলের রঙ হলুদ।
রঙের বৈচিত্রের শেষ নেই ।
রঙগুলো দেখতেই পেতাম না যদি আমাদের চোখের বিশেষ কোষগুলো না থাকতো।
ধন্যবাদ ওদের। ওরা আছে বলেই না এত রঙের বাহার দেখতে পাই।
রঙ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেই প্রাচীন কালে যখন মানুষ বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াত তখন লাল রঙের ফল দেখলে মনে করত নিশ্চয়ই ভাল কোন খাবার পেয়েছি রে।
যেমন বিজ্ঞানীরা দেখেছে- আমরা বেগুণী বা নীল রঙের খাবার বেশি পছন্দ করি না।
কারন সেই আদিম মানুষেরা বনে জঙ্গলে নীল রঙের খাবার বেশি পেত না তাই।
আর আলো ও কিন্তু হরেক পদের আছে। কিছু আলো দেখা যায়। আবার কিছু আলো
দেখা যায় না। যেমন এক্সরে । এই আলো দেখা যায় না।
সূর্যের আলোতে সাত রঙ থাকে জানি আমরা। এখন কোন জিনিসের উপর যখন সূর্যের আলো পরে , ধরা যাক হাতের সামনে একটা পাকা কলা আছে। ওটার উপর আলো পড়লো। কলাটা সব রঙ শুষে নিল। কিন্তু হলুদ রঙটা শুষে নিতে পারলো না।
রঙটা ফিরিয়ে দিল। আর এই কারনেই কলাটা আমরা হলুদ রঙের দেখতে পাচ্ছি।
কখন আমরা একটা জিনিস সাদা দেখি ?
যখন সেই জিনিসটা কোন রঙ শুষে নিতে পারল না। সব রঙ ফিরিয়ে দিল।
তারমানে সাদা জিনিসে সব রঙ আছে।
আবার কালো জিনিস কোন রঙ ফিরিয়ে দিতে পারে না।সব রঙ শুষে নেয়। তাই কালো দেখা যায়।
এটা একটা মজার পরীক্ষা। সব বিজ্ঞান এক্সপেরিমেনট কিন্তু মজার খেলা।
এই পরীক্ষার জন্য রঙিন একটা চাকতি লাগবে।
তুমি নিজেও হয়তো এমন চাকতি অনেক দেখেছ। আমরা নিজেরাই বানিয়ে নেব।
১০ সেন্টি মিটারের মাপে গোল করে আমরা কার্ডবোর্ড বা মোটা কাগজ কেটে নেই।
সেই গোল কার্ডবোর্ড বা মোটা কাগজের উপরে কাটা কম্পাসের সাহায়্যে সমান মাপে ছয় ভাগ করে দাগ দিতে হবে।
এই ছয় ভাগ আলাদা আলাদা ছয় রঙ করব এখন।
লাল, কমলা। হলুদ, সবুজ,নীল এবং বেগুনী। এই ছয় রঙ লাগবে।
কালো রঙ না কিন্তু।
রঙ শুকিয়ে গেলে। চাকতির মাঝ খানে কায়দা করে একটা ছিদ্র করতে হবে।
চাকতির মাঝ খানে সরু একটা কাঠি ঢুকিয়ে নিলেই আমাদের কাজ শেষ।
পরীক্ষার জন্য তৈরি আমরা।
যোগার যন্ত হয়ে গেছে।
সরু কাঠি ধরে যত জোরে পার চাক্তিতা ঘুরাতে থাকো। তারপর মেঝেতে রেখে দাও।
ওটা নিজেই ঘুরুক। কি দেখতে পারছ ?
চাকতির সব রঙ আলাদা দেখা যাচ্ছে ? না একদম সাদা দেখা যাচ্ছে ?
আসলে হচ্ছে কি – যখন চাকতিটা দ্রুত ঘুরতে থাকে তখন আমাদের চোখ রঙ গুলো
আলাদা করে চিনতে পারে না।
আমরা সেই সব রঙের মিশ্রণটাই দেখি যেটা কিনা সূর্যের আলোতে সব সময় মিশে থাকে।
ঠিক এই কারনেই আমরা সূর্যের আলোর কোন রঙ দেখি না।
যেমন এখন রঙিন চাকতিটা ঘোরার কারনে তুমি সাদা কালো দেখছ।
মতামত জানান