Site icon খিচুড়ি

টুনুচাচার টুনটুনি রহস্য

টুনু চাচার সাথে রোজ দেখা হয়। বাজারে যে নতুন চা স্টলটা হয়েছে সেখানে প্রতিদিন চা খেতে যাই। সেখানেই দেখা হয়। সাদা পাকা চুল চাচার। চোখে একটা মান্ধাতার আমলের মোটা ফ্রেমের চশমা। ভারি আমুদে লোক। আর আজগুবি সব গল্পের একেবারে যাকে বলে ডিপো।
ধোয়া উঠা গরম চায়ে চুমুক দিয়ে প্রতিদিন দলবেঁধে শুনি চাচার সে গল্প। অবশ্য ফ্রি নয়। যারা শুনি পালা করে চাচাকে চা খাওয়াই। গতকালকেই শিডিউল করে রাখা হয়েছে, চাচা আজকে শুনাবেন এক টুনটুনির গল্প। সে যেসে টুনটুনি নয়। গল্পের খানিকটা আভাস ইতোমধ্যেই শুনিয়ে রেখেছেন। কোন আমলে নাকি চাচা স্টেশনমাস্টারের কাজ করেছেন। আর সেখানেই সে আজব পাখিটার দেখা পান তিনি। সে পাখি অবশ্য কথা বলেনা। গণক পাখিও নয়। আলিফ লায়লার মত মন্ত্র আওড়ালে যাদুও হয়না তাও আজব পাখি। চাচার মতে ‘খালি আজব নয় ! সে এক মারকুটে আজব’।
অবশ্য গল্প শুনার পর আমার কাছে পাখিটার চেয়ে রহস্য লেগেছিলো অন্যকিছু। যাহোক সে কথা পরে বলি । টুনু চাচার সে মারকুটে আজব পাখির গল্প শুনার কৌতূহলে রাতে ভাল ঘুমাতেও পারিনি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দু পাতা ইংরেজি রচনা বাবাকে জোরে জোরে শুনিয়ে মায়ের টাকার গোপন সঞ্চয় থেকে ৫টাকার একটা নোট নিয়ে সোজা ছুট । চাচা এলেন সাতটায়। পশ্চিম পাশে যে নড়বড়ে সাড়ে তিনপেয়ে টুলটা তার বা পাশে একটা হাত ভাঙা কাঠের চেয়ার। এটাই হল চাচার বিশেষ আসন। আমাদের চা খাওয়া ততক্ষণে শেষ। চাচার ধুয়ো উঠা চা প্রস্তুতই ছিল।
চেংড়া বাক্কু চা দিয়ে গেঁজো দাঁত গুলো দেখিয়ে বলল , কাহা টুনটুনি ফইকের গপ্পটা ইস্টার্ট দেন। চাচা মাথা নাড়েন।
চায়ে সুড়ুৎ করে একটা চুমুক দিয়ে বলেন , গল্প না , গল্প না।
এগুলো হল স্মৃতি। হু ! যাক স্মৃতিই। তাই সই। আমরা মেনে নিয়ে চোখেমুখে কৌতূহল নিয়ে হা করি তাকিয়ে থাকি চাচার দিকে।
চায়ে শেষ চুমুকটা দিয়ে ওনি দাড়িতে হাত বুলান কিছুক্ষণ। চশমাটা খোলে অযথায় পাঞ্জাবীর খুটে মুছে আমার চোখে দেন। তারপর শুরু করেন গল্প থুক্কু স্মৃতি । চাচার আত্মস্মৃতি। চাচার গল্প চাচার ভাষায় না বললে ঠিক জমেনা। তাই চাচার বয়ানেই তুলে দিলাম।
: বাড়িতে দুবেলা ভাতের খোটা সইতে না পেরে শেষমেশ চেয়ারম্যানকে ধরে বারো টাকা বেতনে পোস্টমাস্টারের চাকরিতে ঝুলে পড়ি। আমার দায়িত্ব পড়ে আমিরগঞ্জ। এখন যেমন লোকে গিজগিজে , দোকানপাট আর কয়েক ঘণ্টা পরপর ট্রেন আসার হিড়িক দেখিস তখন তেমন ছিলনা। স্টেশনটার চারপাশে ছিল অনেকটা দূর জোড়ে ধানি জমি। রেল সড়কটা উঁচু হয়ে চলে গেছে সেই ধানিক্ষেতের মাঝ দিয়ে। আর স্টেশন বলতে একটা কুড়ে। আর যাত্রীদের বসার জন্য একটা ছাউনি। ট্রেন আসতো দুবেলা। একটা সকাল সাড়ে ছটায় আরেকটা রাত দেড়টায়।
চাচা এবার থামেন। পাঞ্জাবির উপর কোত্থেকে উড়ে যেন এক টুকরো খড় পড়েছিল। সেটাকে বেশ দু আঙুলে ধরে গড়িমসি করে শেষটায় ফু দিয়ে ঝেড়ে ফেলেন। আবুল মিয়ার কপাল কুচকে আছে। আজকে তার ঘাড়েই পড়েছে চায়ের বিল। যত গড়িমসি তত বেশি কাপ চা। চাচা অবশ্য দ্বিতীয় কাপটা এখনই চাননা। ওনি আবার শুরু করেন ,
: কর্মচারী ছিলাম আমিসহ তিনজন। একটা বারো তেরো বয়সী ছেলে আর একজন আমারই বয়সী।অবশ্য এরা ঠিক রেলের সাথে সম্পৃক্ত নয়। স্টেশন মাস্টারের ঘরটাই আবার ডাকঘর হিসেবেও ব্যবহৃত হত। আমার বয়সী অর্থাৎ হাশেম মিয়া ছিল পোস্টমাস্টার। আর আনুর কাজ ছিল চিঠিপত্র যাচাই করে আগুনে গালা গলিয়ে সিল করে দেওয়া।
মূল ঘটনা মনে হয় মাঘের শুরুর দিকে । শীতটা নেমেছিল বেশ ঝেঁকে সেবার। কুয়াশাও পড়া শুরু করে সেইসাথে পাল্লা দিয়ে। একদিন হাশেম মিয়ার বাড়ি থেকে চিঠি এলো তার মা ভারি অসুস্থ। এখন যায় তখন যায় অবস্থা। চিঠি পেয়ে হাশেম পড়ল ভারি বিপাকে। সে সদ্য দুদিন ছুটিয়ে কাটিয়ে এসেছে সপ্তাহখানেকও হয়নি। এদিকেও আনুরও সেদিন এলো ঝাঁকিয়ে জ্বর। শেষমেশ চিঠিপত্রের কাজ আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে তিনি সকালের ট্রেনে চড়ে বসলেন। বলে গেলেন , অবস্থা ভাল হলে দুদিন বাদেই ফিরে আসবেন। আনু জ্বর নিয়েই চিঠিপত্র সিল-গালা করে সন্ধ্যা হতেই চাদর মুড়ি দিয়ে শোয়ে পড়ল। এমনিতেও আমার দেড়টায় উঠতে হয়। ভাবনা কি । আজ কেবল চিঠির বোঝাটা তুলে দিতে হবে এইযা। কুড়েটার একপাশেই হাশেম মিয়ার বিছানা। ভাবলাম এখানেই একটু গড়িয়ে নিই।
গল্পটার এখানে এসে চাচা আবার চুপ। হাসি হাসি মুখ করে আবুল মিয়ার দিকে তাকিয়ে সাদা দাড়িতে হাত বুলাতে থাকেন। এর অর্থ , দ্বিতীয় কাপটা না এলে গল্পটা আর এগোবেনা। আবুল মিয়া অগত্যা আরেক কাপের অর্ডার দেন। চায়ের কাপে বোধহয় চিনির বয়াম থেকে একটা মরা পিঁপড়ে পড়েছিল। আঙুল দিয়ে আলগোছে সেটাকে তুলে সন্তর্পণে ঝেড়ে ফেলেন। তারপর চোখ বন্ধ একটা লম্বা চুমুক।
আধ-খাওয়া চায়ের কাপটা টেবিলে রেখে তারপর মুখ খোলেন ,
: চোখ ঠিক কখন লেগে এসেছিল বুঝতে পারিনি। ট্রেনের হুইশেলে ঘুম গেল ছুটে। হুড়মুড় করে উঠে চিঠির ঝুলোটা আর টেবিলে রাখা লন্ঠনটা রেখে বাইরে বেরোলাম। ট্রেন এসে মাত্র দাঁড়িয়েছে। কোন যাত্রী নেই। মাঝে মাঝে যে দু একটা থাকে এই তীব্র শীতে বুঝি তাদেরও ট্রেন চড়ার সাধ মিটেছে। আমি মেইল বগির দিকে এগিয়ে গেলাম। হাশেম মিয়া চাবি দিয়ে গিয়েছিল। চিঠির বোঝাটা নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে আবার তালা দিয়ে ফিরতেই কে যেন ডাক দিল ,
: টিকিট সাব ..টিকিট সাব!
একেতে হাতে কেবল একটা লন্ঠন। সেটা দিয়ে এমনিতেই দুহাতের বেশি দেখা যায়না। তার উপর আবার ঘন কুয়াশা ।
আমি হাঁকলাম ,
: কে ? কে কথা কয় ?
: আমি সাব। একটু এদিকে আইবেন ? বড় বিপদে পড়েছি ।
আমি আর কথা না বাড়িয়ে এগোলাম সেদিকে। যাত্রী ছাউনিতে ছায়ার মত দেখা যাচ্ছে। কাছে গিয়ে লোকটার চোখের কাছে লন্ঠনটা ধরতেই দেখলাম। একটা হাড় হিড়হিড়ে কঙ্কালসার একটা লোক। মুখে কাচা পাকা গোঁফ দাড়ি। চোখ দুটো যেন প্রায় গর্তে বসে গেছে। পিটপিট করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
: একটা টিকিট দেবেন সাব ? কিন্তু পয়সা নাই আমার। এই পাখিটা নিয়া যদি দিতেন ?
ভারি অদ্ভুত লোক। মাঝ রাত্রে খাঁচায় একটা টুনটুনি পাখি নিয়ে এসেছে টিকেটের জন্য। লোকটা বেশ বৃদ্ধ। কেমন যেন মায়া হল দেখে।
বললাম , কোথায় যাবেন ?
উত্তর এলোঃ দেন একটা। এ গাঁও ছাড়তি পারলেই অয়। গাঁওয়ের মাইনসে দেখতে পারেনা আমারে। ফইক টইক নিয়া থাকি। তাই কয়, পাগল। গাঁওয়ে আর থাহা যাইবনা। সব ফইখ আসমানে উড়াইয়া দিয়া এইডা নিয়া পলাইয়া আইলাম। বড় পছনের ফইখ। বিপদে না পড়লে দিতাম না। দিবেন সাব একটা টিকেট?
ট্রেন হুইশেল দিচ্ছে। দ্রুত একটা টিকিট এনে লোকটাকে ট্রেনে তুলে দিয়ে লন্ঠনের আলোয় পতাকাটা ঝাঁকাতেই ট্রেন ছেড়ে দিল। ফেরার সময় খাঁচাটা চোখে পড়ল। যাত্রী ছাউনির টুলের এক কোনায় রেখে গিয়েছে। পাখিটার কোন সাড়া পাচ্ছিনা।
লন্ঠনের আলোয় ধরতেই দেখলাম এককোণে জবুথুবু হয়ে চোখ বোজে দাড়িয়ে আছে একটা টুনটুনি।
ভাবলাম কাল সকালেই ছেড়ে দেব এটা। খাঁচাটা এনে ঘরের একটা কোনায় ঝুলিয়ে রাখলাম। একেতো হাড় শিরশিরে মাঘের শীত। মোটা কম্বল দিয়ে জুত করে শুয়েই ভাবলাম এক ঘুমেই রাত কাবার হয়ে যাবে। সকালে উঠে দেখব আকাশ ফকফকা। কে জানে সূর্য উঠবে কিনা? সে উঠুক আর নাই উঠুক, কুয়াশার পুরো চাদর ভেদ করে দশটা এগারোটা নাগাদ তো একবার উঁকিঝুঁকি মারবেই।
কিন্তু সে আর হলো কই ?
তখন রাত আনুমানিক তিনটা কি সাড়ে তিনটা হবে। চোখদুটো যেন আপনিই খোলে গেল। সেইসাথে ঘুমের রেশও যে কোথায় হারাল কে জানে ? খুটখুট কিসের যেন একটা শব্দ হচ্ছে। একটানা নয় । থেমে থেমে। দরজায় কেউ ধাক্কাচ্ছে নাকি ? তাইতো !
টেবিলে তখনও লন্ঠন জ্বলছে। আলো কমিয়ে রেখেছিলাম। ঘরটা জোরে আবছা আবছা আলো। আলমারি ,টেবিল ,চেয়ার আর টেবিলে রাখা জগটার ছায়া লন্ঠনের কাঁপা আলোয় ধাপিয়ে চলেছে। এই কনকনে শীতে কম্বল থেকে বেরোতে ইচ্ছে করছিল না। তাছাড়া চোর ছেঁচরও হতে পারে।
বিছানা থেকেই আমি হাঁকলাম ,
: কে ? দরজা ধাক্কায় কে?
: আমি সাব !
কণ্ঠটা শুনেই কেমন যেন আতকে উঠলাম। বৃদ্ধ একটা কণ্ঠস্বর।আর খুব পরিচিত ঠেকল আমার কাছে।
: আমি কে? নাম বলুন? সাহস করে কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম আমি ।
উত্তর এলঃ আমি.. সাব। সেইযে দেড়টার টেরেনের সময় আপনার সাথে দেখা হল। আমার পাখি নিয়া টিকেট দিলেন?
চাচা আবার চুপ করে গেলেন। আমাদের সবার মুখ হা হয়ে আছে। চাচা পাখি নিয়ে যে লোককে টিকেট দিয়েছিলো সে দু ঘন্টার মধ্যেই আবার ফিরে এলো কিভাবে ? কৌতূহল সবার এতটাই বেড়ে গেছে যে আবুল মিয়া চাচা থামার সাথে সাথেই চায়ের অর্ডার দিয়ে দিয়েছে। চায়ের কেটলির পাশে একটা ধুয়োয় কালো হয়ে যাওয়া টুলে বসে হ্যাঁ করে গল্প শুনছিলো চা ওয়ালা।
সে দ্রুত হাতে লেগে গেল চা তৈরিতে। আধ মিনিটের মধ্যেই ধূয়া উঠা গরম গরম এক কাপ এসে গেল টুনু চাচার হাতে। সেটা নিয়ে এবার দু পা চেয়ারে তুলে আরাম করে বসলেন তিনি।
একটা চুমুক দিয়েই আবার গল্প শুরু করলেন,
: আতঙ্কে আমি কেমন যেন জমে গেলাম। এই শীতের রাত্রেও ঘামে প্রায় গোসল করে ফেলেছি। কম্বলটা গা থেকে ঝেরে ফেললাম। তারপর কেমন যেন মন্ত্রমুগ্ধের মত উঠে গেলাম দরজায়। দরজা খোলতেই দেখলাম সেই বৃদ্ধটা দাড়িয়ে আছে। সে এক বীভৎস অবস্থা। সারা গায়ে তার চাপ চাপ রক্ত। মাথার সাদা চুল ভিজে লাল। আমাকে দেখে যেন একটু হেসে উঠল।
তারপর বলল ,
: টিকিট সাব টেরেন তো আমারে ফালাইয়া চইল্লা গেল। টিকিট তো কামেই লাগল না। দেন দেখি আমার ফইখটা।
আমি ততক্ষণে পাথর হয়ে গেছি। লোকটা আমার পাশ কাটিয়ে ঘরে ঢুকে পড়লো। বিড়বিড় করে বলছে
: লরে ফইখ যাই…
খাঁচাটা যেখানে রেখেছিলাম সেখানটা কেমন অন্ধকারেই ঠাওরে নিল। আমি কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে পড়ে গেলাম।
: সাব, খাছা দিয়া গেলাম, ভাঙা চোরা কলকব্জা খটরমটর! নেওনের দরকার নাই।
: খাঁচা, পাখি দুইটা নিয়াই বিদায় হও। ঘোর লাগা স্বরে বিড়বিড় করলাম আমি।
অন্ধকার ফুড়ে লোকটার আবছা ছায়াটা নড়েচড়ে খিলখিলিয়ে হেসে উঠল।
: উপায় নাই সাব। যেই দেশে যাব হেই দেশে টেরেন যায়না। হাওয়ার রাজ্যি। ফইক উইড়্যা বেড়ায়। খাঁছা নেওনের ব্যবস্থা নাই।
তারপর বিড়বিড় করতে ক্রমশ দুরে মিলিয়ে গেল লোকটা।

সকালে ঘুম ভাঙলো লোকজনের শোরগোলে।
স্টেশনে বেশ মানুষ জমে গেছে। ব্যাপারটা কি জানার জন্য উঠে বাইরে গেলাম। লোকজনের মুখে হা হুতাশ। একটা শব্দ একটু পরপর কানে আসছে ,’ট্রেনে-কাঁটা’ ।
আনুর দেখলাম জ্বর সেড়ে গেছে। তাকেই জিজ্ঞাসা করলাম , কি হয়েছেরে আনু ?
: স্যার একটা লোক মারা গেছে।
ট্রেনের বারি খাইছিলো মনে হয়। মাথা ফাইট্টা দু ফাঁক! হাঁতে আবার পানের ডগায় গাথা চুন । খাইতে নিছিলো মনে হয় ।
আমার মাথাটা কেমন উলটপালট হয়ে গেল। দ্রুত ঘরে ঢুকে গেলাম। টেবিলটার পাশে চাদর দিয়ে আড়াল করা যে আলনাটা।
তার কিনারেই ! হ্যাঁ ওটার কিনারেই পাখির খাঁচাটা। যেই খাঁচা তেমনি আছে, শুধু পাখিটাকে দেখলাম পা দুটো আকাশের দিকে ছড়িয়ে শীতে জমে মরে পড়ে আছে। আমি আর দাড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না। ধপ করে একটা টেবিলে বসে পড়লাম। কল্পনা করতে চেষ্টা করলাম একটা দৃশ্য ।
ভয়ঙ্কর বীভৎস একটা দৃশ্য । লোকটা ট্রেনের দরজায় এসেছিলো পানের পিক ফেলতে। আর সেখান থেকে পা হড়কে পড়ে মৃত্যু !
কিন্তু কালকে রাতে তাহলে কে এসেছিলো? তাহলে কি মৃত্যুর পর ভূত হয়ে লোকটা এসেছিলো টিকেটের মূল্য ফিরিয়ে নিতে ?
নাকি সেটা ছিল আমার কোন ভুল ! কোন আজগুবি স্বপ্ন !
হা হয়ে শুনছিলাম এতক্ষণ। সত্য কি মিথ্যা জানিনা। কিন্তু গল্প শেষ করার পর চাচাকে কেমন উদাস মনে হল। কত আজব ঘটনাইতো ঘটে পৃথিবীতে! কে জানে এটাও হয়তো তেমন কোন ঘটনা। যেটা রহস্য থেকে শুরু রহস্যেই শেষ!

Exit mobile version