বাড়ির উপর বাড়াবাড়ি

কলকাতার বাইরে কোথাও হাওয়াবদলে যাবার তোড়জোড় হচ্ছিল। বোঁচকাবচকি  বাঁধা বিছানাপত্র ঠিকঠাক, সব কিছুর গোছগাছ করছিলেন গিন্নি। গোবর্ধন ছিলো তদারকিতে।
একজন কী বলেছেন তা জানিস? মুখ খুললেন হর্ষবর্ধন, ‘হাওয়া- বদলের আসল কথাটা হলো খাওয়াবদল | তামাম মুল্পঃকেই তো এক হাওয়া ! হাওয়া আবার বদলায় নাকি! মুখ বদলাতেই মানুষ ভিন্‌ দেশে যায়!”
“কে বলেছিলো জানি ।’ টিপ্পন কাটলেন ওর বৌ, ‘মেসের হাওয়া বদলাতে যিনি প্রায়ই আমার হে’সেলে এসে থাকেন’
‘শিবরামবাবু না।’গোবরার উত্থাপনা।
‘হ্যাঁ। দেওঘরে বেড়াতে যাবার কথাটা বাতলেছে সে-ই । সেখানকার প্যাড়ার মতন আর হয় না কি।’
‘তা, কথাটা যখন তুললেই তখন বলতে হয় কাশীর চাইতে ডাকসাইটে কেউ না। কাশীর পেয়ারা বিশ্বাবখ্যাত | কাঁচা খাও ভাঁসা খাও–”
“পেয়ারা নয় রে, প্যাড়া |,
“ওই হলো। যা পেয়ার তাই প্যাড়া। প্রিয় বন্ধুর হিন্দি নামই ওই ।”
“প্যাড়া আর পেয়ারা এক হলো ১ একটা হলো ক্ষীরের আরেকটা হলো গিয়ে গাছের–দুই-ই এক? জবাব দিতে গিয়ে তিনি অবাক! ‘গোবরা আর গোবর এক চিজ?’

কথাটার চুলচেরা বিচারে এগুতে সে নারাজ, কথাস্তরে যেতে চায়– তা কী বলেছেন সেই ভদ্রলোক ?’
“বলেছে যে পাড়া যা ছাড়তেই হয় তো এ প্যাড়ার জন্যই | দেওঘরের প্যাড়ার জন্যে দেশাস্তরণ হওয়া যায়। তার প্যাড়ার নাকি প্যারালাল নেই
‘তা তোমার সেই প্যাডালালকেও সঙ্গে নিলে নাকেন? আমাদের সঙ্গে প্যাড়া খেতে যেতো না হয় ।”
“তাকে বলবার সময় পেলাম কই হুট করে আমাদের এই যাওয়াটা হয়ে গেলো না হঠাৎ?”
সত্য, কউকেই কোনো খবর দেওয়া হলো না। কত লোক আমাদের খোঁজে এসে ফিরে যাবে । খবর-কাগজওয়ালা কাগজ ফেলে দিয়ে যাবে রোজ রোজ। বারণ করা হয়নি তাকে। গয়লা,ঘুটেওয়ালী, কয়লাওয়ালে কাউকেই না।
“সারা মাসের কাগজ বারান্দায় গাদা করা থাকবে । এক সঙ্গে পড়তে পাবে দাদা ।’
“সে এক ঝঞ্জাট ॥
“আর দোবগোড়ায় সারি সারি দুধের বোতল । আর তার মুখোমুখি পাড়ার যত বেড়াল”
“কি মুশকিল । সেই সঙ্গে আবার ওনার মিনি বেড়ালটাও যাঁদ থাকে তো হয়েছে!”
“আমার মিনিকে মিছিমিছি দূষো নাতো” খোটাটা গিন্নির গায়ে লাগে । “পাড়ায় হুলুদের সঙ্গে সে মেশে নাকি?”
‘আবার যাদের তুমি মাস মাস কিছু সাহাষ্য করো সেই সব মাসোহারাদার নাকি নিয়মিত ইঙ্কামট্যাক্সওয়ালা যাই বল তারাও কিউ বেধে দাঁড়িয়ে তোমার অপেক্ষায়__
‘সববোনাশ?’
“আচ্ছা, আমি এর বাবস্থা করছি-বলে গোবরা একটা সাদা পিজবোর্ড নিয়ে পড়লো, কি যেন লিখতে শুরু করলো তার ঊপর ।
“তার চেয়ে কোন আত্মীয় স্বজনকে ডেকে এই কমাসের জন্যে বাঁসিয়ে গেলে হতো না? বাড়িটাও আগলাত আর ওদেরকেও সামলাতো..?”
“আত্মীয়দের কাউকে? শুনেই শিউরে ওঠেন হর্ষবর্ধন। নিজের বাসায় সাধ করে তাদের নিয়ে এসে বসানো? নিজের উঠোনে তাদের টেনে আনা যায় কিন্তু তার পরে কি উঠোনে যায় আবার?’
‘যা বলেছো দাদা” লিখতে লিখতেই গোবরা টিপৃপনি কাটে। এলেই তারা মাটি কামড়ে বসবে শেকড় গেড়ে একেবারে তারপর মূলসুদ্ধ টেনে তোলে সাধ্য কার? মোটেই উঠস্থি মূলো নয়, পতনের পরেই টের পাওয়া যায় |”
“তাহলে এই কয় মাসের জন্যে কাউকে ভাড়া দিয়েই গেলে না হয়? দু-পয়সা আসতো এই ফাঁকে । গিন্নি কন।”
“বেশ মোটা টাকায় ফানিশড্‌ বাড়ি ভাড়া দিয়ে কেউ কেউ দেশছাড়া হচ্ছে এমন বিজ্ঞাপন তো প্রায়ই দেখা যায় কাগজে।”

“ভাড়া ? ভাড়ার কথাটা বোলো না আর গিন্নি।’ কর্তা তাড়া লাগান। সেই একজনকে ভাড়া দিয়েই আমার যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে-একবারই। এক কথা কবার করে শিখতে হয় মানুষকে?”
সেই একবারের কথাটাই তাঁর মনে পড়ে এখন। বেলতলার তাঁর খালি বাড়িটা বন্ধুমতন একজনকে ভাড়া দিয়েছিলেন, মাস মাস ভাড়া পেতেন নিয়মিতই । কোন আক্ষেপ ছিলো না। একবারই শুধু বিলম্ব হলো পাবার। কর্মসূত্রে এক এলাকায় গেছলেন, ফেরার পথে বন্ধুটির খবর নিতে গেলেন ভাড়ার তাগাদায় নয়, বন্ধুর কি হলো, কেমন আছেন, তাই জানতে ।
তাঁকে দেখেই ভদ্রলোক বললেন, ‘দাড়ান ভাই, তোমার ভাড়াটা এনে দিচ্ছি। খিড়কির দিকে এক খদ্দের এসে দাঁড়িয়ে আছে তাকে মিটিয়ে দিয়েই এক্ষুনি আসছি আমি।”
সদরে না থেকে খিড়কির দোরে খদ্দের? কৌতুহল হলো হর্ষবর্ধনের। বাড়িটা ঘুরে পেছনে গিয়ে দেখেন, বাড়ির খিড়কির দামী কাঠের দরজাটা খুলে ফেলা হয়েছে, একজন লোক দাম চুকিয়ে দিয়ে দরজার সেই হাতলটা মুটের ঘাড়ে চাপিয়ে গটগট করে চলে যাচ্ছে। বন্ধুটি খদ্দেরের দেওয়া টাকাটা তক্ষুনি হর্ষবর্ধনের হাতে দিলেন, বললেন, ‘এই নাও ভাই, তোমার ভাড়াটা ! এবারটি দিতে একটু দেরি হয়েছে, কিছু মনে কোরো না।’ কিন্তু মনে করার অনেক কিছুই ছিলো।
খিড়াকর মুক্তদ্বার দিয়েই তিনি ঢুকলেন, গিয়ে পড়লেন বুঝি এক মুক্তাঙ্গনে। বাড়ির পেছন ধারের জানালা দরজা সব লোপট, আসবাবপত্র সমস্ত। এমন কি দোরগোড়ার পাপোশ অবধি! খানিকক্ষণ হতবাক হয়ে থেকে অবশেষে জানতে চেয়েছেন,
“এর মানে?”
“এর মানে, মানে মাছের তেলেই মাছ ভাজা আর কী!”
‘তা বুঝেছি, এটা কি আমার বুকে বসে আমারই দাড়ি উপড়ানো হলো না ?’
“একটু ভূল হলো তোমার, ব্যাকরণের ভুল। বরং বলো যে, তোমার বাড়িতে বাস করে তোমারই বাড়ি উপড়ানো ।”
“সে যাই বলো, আসলে তো জিনিসটা ভালো নয়।”
“কে বলছে তা? তবে মন্দের ভালো বলে না ? মাস মাস তোমার ভাড়া চুকিয়ে দিয়েছি সম্পূর্ণ, বাকি রাখিনি কিছু। এটা কি ভালো নয় ভাই ? যদি মন্দের ভালোই বলি।”
“তা বটে!”
মানতে হয় হর্ষবর্ধনকে, ভাড়াটেদের কাছ থেকে ভাড়াই মেলে না আজকাল।
“সেটা তুমি ঠিক ঠিক দিয়েছ বটে।”
“তবেই বলো! আজকেরটাও দিলাম না কি? এমনি দিয়ে বাবো মাস মাস! যতদিন না তোমার এই আস্তানার দরজা জানলারা আস্ত থাকে । তারপর যেদিন সদর দরজাটাও বেচা হয়ে যাবে সেদিন আর এই বেচারাকে ত্রিসীমানায় পাবে না!”

“সদর দরজাটার কতো দর? শুধালেন হর্ষবর্ধন।
‘কতো দর? কাঠের কারবারী, তোমারই তো জানবার কথা হে! দামী মেহগনি কাঠের দরজা । হাজার টাকা তো হবেই|”
‘বেশ, তোমার দরজাটা আমিই কিনে নিচ্ছি, আমার বাড়ির আগাম ভাড়া বাবদ।”
“তোমার দরজা মানে?” আপত্তি করেন ভদ্রলোক ।
“নিজের দরজাকে আমার ঘাড়ে চাপাচ্ছ যে। আমার বলে চালাচেহা কেন?”
“মনে করো না তাই এখন। আর শুধ, দরজাই বা কেন, তোমার পুরোবাড়িটাই আমি কিনে নিচ্ছি তোমার থেকে”
এই বলে চেক লিখে দিয়ে ঘরদোর খোয়ানো নিজের বাড়ি নিজেই বেচে কিনে হাসিমুখে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে।

কিন্তু বারবার সেই এক খোয়ারে, ধাওয়া কেন ফের?
আপনাকেই তিনি প্রশ্ন করেন আপন মনে। নিজের বাড়ীর খদ্দের হয়ে নিজেই কেনাব্চোর সেই খোঁরার কেন আবার? একবার ন্যাড়া হবার পর সেই বেলতলায় মানুষ ক-বার যায়?
নাঃ, ভাড়াটে বসিয়ে কাজ নেই আর! সদর-দোরে চাবি দিয়ে চলে যাব আমরা । দরজায় মজবত তালা লাগিয়ে গেলে বাড়িকে তালাক দেখার ভয় থাকবে না?
‘এই যে, আমি ব্যাবস্থা করলাম”. গোবরা চেঁচিয়ে ওঠে তখন।
“কী ব্যাবস্থা? কিসের ব্যাবস্থা?”
‘বাজে লোকজনদের হটাবার। গোয়ালে, কয়লা, কাগজওয়ালা সবাইকে সরাবার-দ্যাখোনা, কেমন নোটিস লিখে দিলাম এই”
পিজবোরডে তার নিজের কলমের বাহাদুর ব্যবস্থাপনাটা দেখায় সে।
‘এখানে কেউ তোমরা কিছু রেখে যেয়ো না। আমরা বেশ কিছু দিনের জন্য বাইরে যাচ্ছি”
তালার উপর নোটিস মেরে পালালেন তাঁরা তারপর!

লেখালেখির ধান্দায় সাক্ষাৎ হয়নি অনেকদিন। যাইনি ও পাড়ায়। ফুরসত পেতে সেদিন যেতেই রাস্তায় দেখা মিলে গেলো দু-জনার । গোবরা আর তার বৌদির!
মুটের মাথায় সোটকেস চাপিয়ে কোথ্থেকে যেন আসছিলেন তাঁরা, দাড়ালেন আমায় দেখে।
‘কেমন আছেন আপনি?” শুধালেন বৌদি ।
“অনেকদিন মুলাকাত পাইনি!” বললো গেোবরা।
‘সময় পাইনে ভাই। আজ একটু ফাঁক পেতেই চলে এলাম- হ্যা, ভালোই আছি বেশ। তবে আরো ভালো থাকার জন্য যাচ্ছিলাম আপনাদের বাড়ি”
“আসুন । আমরাও যাচ্ছি তো।”
“আপনারাও যাচ্ছেন মানে? কোথায় গেছলেন এই সকালে? ফিরলেন কোথ্‌থেকে?’
‘দেওঘর থেকে । সকালের ট্রেনে ফিরেছি! ট্রযাকসিওয়ালা চেতলার ভেতরে সেধুতে চাইলো না কিছুতেই, বললো যে উধর বহৃত খুনখারাপ হোতা হ্যায়। নেহিজায়গা। এই বলে জজকোর্টের সামনে নামিয়ে দিলে আমাদের। সেখান থেকে একটা মুটে ধরে ফিরছি এই।’
‘তাই নাকি! তা দাদাকে দেখছি নে যে?’
‘দাদা আমাদের সঙ্গে এলেন না। বললেন থাকলাম এখন, কিছু দিন বাদ যাব। তোরা যা। আসতে চাইলেন না । প্যাড়ায় মজে রয়েছেন।’
‘প্যাড়ায়, দেওঘরের প্যাড়া, আহা ! পাড়া মজানোই বটে ভাই । কি-সব মজানো । এর দাদাঁটি এখন মজাদার হয়ে রয়েছেন”
‘প্যাড়া নিয়ে আর তাঁর প্যাড়ালালদের নিয়ে দিনরাত মশগুল ।”
‘প্যাড়ালাল আবার এলে কোত্থেকে?”
আমি তো হতবাক!
‘কোথায় জোটালেন ?’
‘জোটাবেন কেন। প্যারালাল কি জোটাতে হয় নাকি? প্যারালাল বলেছে কেন তবে? আশেপাশেই সহচরের মতো সঙ্গে সঙ্গে যায় সঙ্গ ছাড়ে না কখনই । সর্বদা সমান্তরালে । জানেন নাকি?”
“ও সেই প্যারালাল, অ, তোমার দাদার জোড়া কি ভূভারতে মেলে নাকি ?”
‘মিলে গেছে দেওঘরে। পাড়ার যতো কাচ্চাবাচ্চা ছেলে ছিল পাড়ার লোভে জুটে গেছে এসে । চেলাচামণ্ডা সেই প্যারালাল নিয়ে প্যাড়া আর পাড়া দুই মাত করছেন। কবে ফিরবেন কে জানে।”
‘মনে হচ্ছে যেদিন ওর প্যাড়ায় অরুচি হবে আর প্যারালালরা অন্তরালে যাবে তার আগে নয়’ গিন্নী জানান,
‘একী, ফিরছেন যে, আমাদের সঙ্গে আসবেন না?’
“আজ থাক, আর একদিন আসব। আজ যাই। সারারাত রেলগাড়ির ধকল পুইয়েছেন, এখন বাড়ি গিয়ে খেয়েদেয়ে বিশ্রাম করুন। আপনাদের আরামের ব্যাঘাত করতে চাই না।-গোবরা ভাই, দাদা ফিরলে জানিয়ো। খবরটা যেন পাই।’
বলে পশ্চাদপসরণ করি ।
সত্যি বিশ্রামের হেতু নয়, আজ ওদের আশ্রমে হানা দেওয়ার কোনো মানে হয়? এই মাত্তর ওরা এসেছেন, এখনো ওদের বাজার-টাজার কিছু আসেনি? আমি এখন ওদের বাড়ির উপর চড়াও হয়ে কী করবো?
ওদের আমন্ত্রণটা আন্তরিক ঠিকই, কিন্তু আমার দিক থেকে আপাদমস্তকের (যার মধ্যে উদরটাই অনেকখানি) কোথাও কোনো সাড়া পাইনে, বৃথা অধ্যবসায়ে আমার সায় নেই।

পরের খবর সংক্ষিপ্তই । পরে যেটা জেনেছিলাম-_-
গোবরা তার বৌদিকে নিয়ে তো বাসায় ফিরলো!
বাড়ির দরজায় চমক লাগলো-_’এ কি, দরজাটা হাট করা কেন, ঠাকুর পো; তালা লাগিয়ে যাইনি আমরা?’
“লাগিয়ে ছিলাম বইকি। বেশ আমার মনে আছে গোবরা জানায়–‘তায় ওপর আরো লাগানো হয়োছিল—‘
‘আরো একটা তালা দিয়েছিলে আবার?’
‘তালা নয়, পিজবোডের আমার সেই নোটিসখানা লাগ্যইনি ? যাতে কেউ কিছু এখানে ফেলে রেখে না যায় -সেই নোটিসটা মানে সেই তোমার?’
‘হ্যাঁ,হ্যাঁ, লাগিয়েছিলে তো নোটিস ॥ তাই বা গেলো কোথায়। সেই তালাটাই বা কই?’
‘তালার তালাশে তাঁরা বাড়ির ভেতরে ঢুকে দ্যাখেন, বিলকুল খালাস । চেয়ার, টোবিল, দেরাজ সব হাওয়া! খাট, পালঙ্ক, লেপ, বালিশ, বিছানা উধাও ৷ জানালার পর্দা ফা ফাঁক। হেসেলের হাঁড়িকুড়ি, বাসন-কোশন, হাতা খুনটি লোপাট! ড্রেসিং টবল, আ্শিট্ার্শি সব ফর্সা। সিন্দুক, আয়রন- সেফের চিহু নেই । দরজার পাপোশটি পর্যন্ত নাই।
‘এ কী ব্যাপার ভাই?’ হাঁ করে থাকেন গোবরার বৌদি ।
ঘুরতে ঘুরতে পিজবোর্ডের সেই নোটসখানা নজরে পড়লো– “এই যে সেই নোটিস ।’ লাফিয়ে উঠেছে গোবরা ।
‘তা,তাই বটে ! তোমার সেই নোটিসটাই বটে’
নোটিসের নিচে গোবরার দেবাক্ষরের নিচে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা,
“খববটা দিয়ে ভালো করোছিলেন, নিশ্চিত মনে ধীরে সুচ্ছে ক্ষেপে ক্ষেপে এসে সব নিয়ে যেতে পারা গেল। আর যেমন বলেছিলেন কিছুটি রেখে যাইনি। ইতি-
‘ইতির নিচে নামাট কী পড়ো দোখ!’ বোঁদি শুধোয়।
“ইতি, শ্রী চিচিং ফাঁক”!