সপ্তাহান্তে একদিন কদমতলীর হাট বসে। মেঘনার পাড় ঘেসে জমে উঠা এতোবড় হাট আর আশেপাশে দুদশ গ্রামে নাই। সুতরাং প্রতি সোমবার আশপাশের গ্রাম কি দুর-দুরান্তের গ্রাম সব জায়গা থেকে মানুষের ঢল নামে এই হাটে। উৎসব উৎসব আমেজে চলে বেচাকেনা। বড় বড় নৌকা নিয়ে আসে ব্যাপারিরা। নৌকায় নৌকায় ঘাট ভরে যায়। সারাদিন হাট ঘুরে ব্যাপারিরা জিনিসপাতি কিনে বোঝাই করে নৌকায়। হাট থেকে কেনা জিনিসপত্র তারা দুরদুরান্তের গ্রামের ছোট ছোট বাজারগুলোতে বিক্রি করবে।
নদীর পাড় ধরে আসে হাটুরে মানুষের দল। হাটুরে দলের মধ্যে অধিকাংশই দরিদ্র কৃষক। দুর গ্রাম থেকে খেতের ফসল একটু বেশি দামে বিক্রি করার আশায় এতোটা পথ মাথায় বয়ে নিয়ে আসে তারা।
বশির মিয়ার বাড়ি গেহেরগাঁও, কদমতলী হাট যেখানে বসে সেখান থেকে ঘন্টাখানেকের রাস্তা। নদীর পাড় ধরে সোজা হাটা পথ। চাইলে অবশ্য নৌকাতেও আসা যায়, কিন্তু মণখানেক মিষ্টি আলুর বস্তা নিয়ে ভাড়া দিয়ে নৌকায় আসা পোষায় না। তাছাড়া কোথায় যেন ইজ্জতেও লাগে তাঁর। মনে মনে ভাবে “এইটুকান রাস্তা যদি না আটতে পারলাম কিয়ের কিষাণের পোলা আমি”। এক হাতে মাথায় রাখা বস্তার মুঠি ধরে অপর হাতের হারিকেনটা নাচাতে নাচাতে দ্রুত পা চালায় সে। আজকে একটু সবরে সবরে হাটে যাওয়ার ইচ্ছা তাঁর। দেড়ি করে ফেললে হাটে খুচরা বেচার জায়গাটায় আর ফাঁকা জায়গা পাওয়া যাবেনা। ব্যাপারিরাও এই সুযোগটার তালে তালে থাকে। যেই দেখে কোন কৃষক খুচরা বেচার জায়গা পাচ্ছেনা, অমনি দর কমিয়ে হাকায়। কতখন আর বস্তা মাথায় নিয়ে ঘুরা যায়, শেষমেষ ব্যাপারির দামেই বিক্রি করে দিতে হয়।
হাঁটে বেচাকেনা শেষ করতে বেশ রাতই হয়ে গেছে আজ। রাতের অন্ধকার নামার সাথে সাথে হাটের ভীড়ও কমে গেছে অনেক। হাটুরে মানুষদের অধিকাংশই বেলা থাকতেই হাটের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে গেছে। এখন রয়ে গেছে ব্যাপারির দলটা আর বশির মিয়ার মতো খুচরা বিক্রেতা যাদের বিক্রি করতে একটু দেড়ি হয়ে গেছে এমন কয়েকজন লোক।
বস্তাটা গুছিয়ে নিয়ে হারিকেনের আলোতে টাকাগুলো গুনে রাখে ট্যাকে গুজে রাখে বশির। তারপর বগলের নিচে বস্তাটা চেপে, একহাতে হারিকেনের আলোটা একটু চড়িয়ে নিয়ে সবে হাঁটা ধরেছে এমন সময় যেন কেউ পেছন থেকে ডাকে,
– বশির ভাই নি, ওডা?
ফিরে তাকায় বশির। হারিকেনের আলোটা উচু করে ধরে।
– কেও? আমিন্না নি?
হারিকেনের আবছা আলোয় চেহাড়া ভালোভাবে না দেখা গেলেও মানুষটাকে চিনতে তেমন কোন সমস্যা হয়না ওর।
– হ ভাই… বাড়ির দিক যাবা নাকি?
বশির আর আমিনের বাড়ি পাশাপাশিই। এতোরাতে একা একা বাড়ি ফিরতে হবে ভেবে মনে মনে কিছুটা যেন ভয়ে ভয়েই ছিলো বশির। তাই আমিনকে পেয়ে বেশ খুশিই হলো সে। যদিও এটা কথায় প্রকাশ করলোনা।
– হ, আর যামু কই?
যথাসম্ভব গম্ভীর স্বর করেই বললো সে।
– তাইলে লও ভাই। একলগেই যাই।
হাঁটা শুরু করলো ওরা দুজন। বশির আর আমিনের বাড়ি পাশাপাশি হলেও সম্পর্কটা ওদের খুব একটা ভালোনা। এইতো কয়েকদিন আগেও বশিরের গরু দড়ি ছিড়ে গিয়েছিলো আমিনের ক্ষেতে। এই নিয়ে যা ইচ্ছা ভাষায় তাকে গালাগালি করেছে আমিন। বশিরও অবশ্য যে চুপ করে বসে ছিলো তাওনা। গালির উত্তরে সেও আমিনের চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করতে ছাড়েনাই। রাগের মাথায় একটা আধলা ইটও ছুড়ে মেরেছিলো আমিনের দিকে। সে ইট গিয়ে লাগে আমিনের মাথায়। এরপর থেকেই আর তাঁদের মধ্যে তেমন দেখা সাক্ষাৎ নাই।
আলুর বাজার পেরিয়ে পাটের বাজার, এরপরে কাচাবাজার, কাচাবাজারের গলিটা পাড় হয়ে বেরোলেই নদীর ঘাটের দিকে চলে গেছে রাস্তা। হাটের ভেতরের গুমোট আবহাওয়ার এখানেই শেষ, নদীর পাড় ঘেসে আসা মুক্ত বাতাস লাগে দুজনের চোখে মুখে। মিষ্টি আলু আজ ভালো দামে বিক্রি হয়েছে। অন্তত আগামী একটা মাস বউ বাচ্চা নিয়ে নিচিন্তে কাটিয়ে দিতে পারবে বশির। তাই বাতাসের ঝাপটায় মনটা বেশ ফুরফুরা হয়ে উঠে। নদীর ঘাট অব্দি চলে এসেছে ওরা। ব্যাপারীদের নৌকা ছাড়ার তোড়জোড় চলছে। একসাথে সবাই বেরোতে গিয়ে একজনের নৌকার সাথে আরেকজনের নৌকার লাগছে ঠুকাঠুকি। এই নিয়ে বেশ একটা চেচামেচিও বেধে গেছে। মাঝিদের কোলাহলে কয়েকদিন আগের ঝগড়ার কথাটা মনে পড়ে বশিরের। সংসারের চিন্তা এখন মাথায় নেই, তারউপরে আবার নদীর পাড়ের বাতাসে মনটা নরম হয়েই ছিল। তাই একটু আগেও প্রচন্ড বিদ্বেষের দৃষ্টিতে তাকানো আমিনের প্রতি কেমন যেন মায়া হয় তার। মনে ভাবে, কতইবা বয়স হবে আমিনের। হিসেব করলে তার বড় ছেলের বয়সী। এই বয়সে মানুষের রক্ত গরম থাকে, নিজের ক্ষেতে আরেকজনের গরু ঢুকলে রাগতো উঠবেই। আর সেই রাগের মাথায় না হয় দুইটা গালি তাকে দিয়েছেই আমিন, সে চুপ করে থাকলেই পারতো। আচ্ছা গালাগালি পর্যন্তও ঠিক আছে, কিন্তু ইটটা ছুড়ে মারা কি কোন প্রয়োজন ছিল? এইটা খুব বড় বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। মনে মনে যেন অনুশোচনা হয় বশিরের। ঘাট পেরিয়ে অনেকটা পথ চলে এসেছে ওরা। হাটের কোলাহল এখানে নেই। নিরব নিশুতি রাত, হারিকেনের আলোয় পথ চলতে থাকে ওরা।
– আমিন্না! ব্যাতা বেশি পাইছিলি সিদিন?
গভীর নিরবতার মধ্যে হঠাৎ করে কথাটা ছুড়ে দেয় বশির।
আমিন আপনমনে কি যেন ভাবতে ভাবতে হাটছিলো। হঠাৎ বশিরের কথায় চমকে উঠে সে।
– কিয়ের ব্যাতা বশির ভাই?
বশির ঠিক কি ব্যাপারে কথা বলছে ঠাওর না করতে বলে উলটো প্রশ্ন ছুড়ে আমিন।
এমনিতেই ব্যাপারটা নিয়ে একটা সংকোচের মধ্যে ছিলো বশির। আমিনের প্রশ্নে যেন সংকোচ আরো বেড়ে যায় তার। মনে মনে ভাবে কথাটা এখন না তুললেই পারতো।
– ঐযে, ঐদিন রাগের মাতার আতটা ঝাড়া দিলাম আর ইটটা ছুইট্টা গিয়া মাতায় লাগলো তোর!
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যথাসম্ভব নিজের দোষ ঢেকে ব্যাখ্যা দেয় বশির।
-অ আইচ্ছা। ঐ কতা কও।
যেন ঘটনা কয়েকদিন আগের নয়, বহু বছরের কোন বিস্মৃত স্মৃতি এমনভাবে বলে আমিন।
– আরে না বশির ভাই। ইট্টুনি লাগছিলো। সাইর্যা গেছে সঙ্গে সঙ্গেই।
এরপর খানিকটা সময় দুজন আবার চুপচাপই হাটে। আমিনের যেন এবার ঝগড়ার কথাটা মনে পড়ে। এতোখন সময় বুঝি চুপ করে সে এইব্যাপারটাই চিন্তা করছিলো। তাই এবার নিরবতা ভাঙ্গে সেই-ই।
– বশির ভাই, আসলে আমরই দোষটা বেশি। তুমি মুরুব্বি মানুষ আমার বাপের লাহান। তোমারে মা বাপ তুইল্লা গাইল দেয়াটা খুব খারাপ অইছে।
প্রচন্ড অনুতপ্ত ব্যাক্তির মতো অকপটে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় আমিন। ওর কথায় যেন বশির বেশ উত়্ফুল্ল হয়ে উঠে। আমিনের কাছে নত হয়ে গেছে ভেবে মনে মনে এতোখন নিজেকে বেশ কষে গালিগালাজ করছিলো সে। আমিন দোষ সম্পূর্ণ নিজের কাধে তুলে নেওয়ায় ব্যাপারটাকে এক ধরনের জয় হিসেবে দেখে বশির।
– অইলো অইলো! ইগুলা কিছুনা। তোরে আমি আমার পোলার মতই দেখি।
কথায় কথায় অনেকটা পথই চলে এসেছে ওরা।
নদীর পাড়ের রাস্তাটা এখানে শেষ। এবার ডান দিকে ঘুরে আবাদি জমির চর, এই চরটা পেরোলেই পথটা চলে গেছে আরেকটা খোলা ঘন গাছগাছালি বেষ্টিত মাঠের মধ্যে দিয়ে। এই মাঠের একপাশ লাগোয়া গ্রামের যে বড় কবরস্তানটা সেটার মাঝখান ধরে চলে গেছে একটা মেঠোপথ। সেটা দিয়ে মিনিট পাঁচেক গেলেই গ্রামের শুরু।
আবাদি জমির চরটা পেরিয়ে গাছপালা বেষ্টিত মাঠটার মধ্যে প্রবেশ করতেই যেন পরিবেশটা বদলে যায় সহসা। এতোখনের ফুরফুরে বাতাসটা মিলিয়ে গেছে যেনো হঠাৎ করেই। তারবদলে কেমন যেন গুমোট মেরে আছে সব। একটা গাছের পাতা নড়ছেনা, যেন সবকিছু থেমে আছে কোন কিছু একটা ঘটবার জন্য। উন্মুখ হয়ে যেন অপেক্ষা করছে।
আমিনের সাথে ঝগড়া, একটু আগের আমিনের স্বীকারোক্তি আর তাতে পাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত বিজয়ের আনন্দ যেন আর অনুভূত হয়না বশিরের। কেমন যেন একটা ভয়ের রেশ চেপে ধরে তাঁকে। জায়গাটা খুব একটা ভালোনা। রাত বিরেতে ভূত প্রেতের আড্ডা হিসেবেই পরিচিত। এইতো বছরখানেকও হবেনা এই মাঠেই পাতা কুড়াতে এসেছিলো শাজাহানের ছোট মেয়েটা। ভর সন্ধা তখন। হঠাৎ করে মেয়ের চোখ পড়ে একটা গাছের উপর এক মহিলা বসে বসে যেন গুনগুন করে কাঁদছে না গান করছে। পড়নে সাদা ধবধবে শাড়ি। কাছাকাছি যেতেই মহিলা হঠাৎ করে ফিরে তাকালো মেয়েটার দিকে। আগুনে পোড়া শরীর, বীভৎস মুখ। মুখ দিয়ে যেন আগুনের হলকা বেড়িয়ে আসছে। নিঃশ্বাসের সাথে আগুনের গরম বাতাস এসে লাগলো মেয়েটার শরীরে।
সেই রাতেই এলো গা কাঁপিয়ে জ্বর। পরদিন ফজরের ওয়াক্তের আগেই মারা গেলো মেয়েটা।
মৃত্যুর সময় পাশেই দাঁড়ানো ছিল বশির, জ্যান্ত গায়ে আগুন জ্বেলে দিলে মানুষ যেমন করে ঐরকম করেই তরপাতে তরপাতে মরেছিলো মেয়েটা।
সে দৃশ্য চোখে ভাসলে এখনও ভয়ে শরীর হিম হয়ে যায়।
ভয়ের কারণেই চলার গতিটা বেশ বাড়িয়ে দিয়েছে বশির। ওর সাথে হাঁটা সামলাতে না পেরে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছিলো আমিন। সে খানিকটা দৌড়ে এসেই বশিরের সাথে তাল মেলালো।
– বশির ভাই। আসতে আটো। কুলাইতে পারিনা তোমার লগে।
হাটার গতি থামায় না বশির।
– জায়গাটা ভালানা আমিনুদ্দি। জলদি পারহ। নিশুতি রাইতে এই জায়গায় তেনারা থাহে!
গলার স্বর নামিয়ে বলে বশির। যেন কেউ শুনে ফেলার ভয় করছে সে।
– তেনারা কারা বশির ভাই? ভূত?
আমিন কানের কাছের মুখ নিয়ে বলে বশিরের।
– চুপ! নাম নিছনা! নাম নিছনা!
– নাম নিলেই কি অইব বশির ভাই? তেনারা নাইমা আসব?
গলার স্বর যেন কেমন বদলে যায় আমিনের। খপ করে একটা হাত দিয়ে বশিরের হাতটা ধরে ফেলে সে। তারপর যেন খানিকটা জোর করে বশিরকে থামিয়ে দেয়।
– কি করস আমিন্না। বাড়িত যাবিনা?
– বাড়িতই তো আছি বশির ভাই! ওইযে দেহ নতুন একটা কবর, ঐটাই আমার ঘর এহন!
আমিনের কথায় বেশ ভয় পেয়ে গেছে বশির। কাপা কাপা হাতে কোনরকমে হারিকেনটা ধরে রেখেছে সে। মুখ কাপছে থরথর করে। বুকের ধুকপোকানির কারণে কি যেন বলতে গিয়েও পারছেনা।
– তুমি আধলা ইটটা ছুইড়া মারলা। আমার মাতা গেলো ফাইট্টা! কত যে রক্ত গেলো বশির ভাই। আর কিযে বেদনা কি কমু তোমারে! হেই বেদনাতেই আমি মরলাম!
– তু তু্… ইনা কইলি সাইর্যা গেছে?
– সারছেইতো। যেই মরছি আর তো বেদনা নাই বশির ভাই।
বশিরের হাত ক্রমেই কেমন যেন অবশ হয়ে আসতে থাকে। হাতের হারিকেনটা মাটিতে আছড়ে পড়ে হঠাৎ। বুকের মধ্যে চিনচিনে একটা ব্যাথা যেন ধীরে ধীরে তীব্র থেকে থেকে তীব্রতর হতে থাকে। চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। তারপর নেমে আসে গভীর অন্ধকার!
পরদিন ভোরে বশিরের লাশ পাওয়া যায়।
এই ঘটনার পর বেশ অনেকদিন কেটে গেছে। গ্রামের মানুষের মুখে মুখে বশিরের মৃত্যুর কাহিনীর কথা ক্রমেই একঘেয়ে হয়ে এসেছে।
এর মধ্যেই একদিন রাতে যাত্রা দেখে বাড়িতে ফিরছিলো আমিন। গভীর অন্ধকার রাত। আকাশে বেশ মেঘ করে বিজলি চমকাচ্ছিলো অনেকখন ধরেই। নদীর পাড়টা পেরিয়ে সবে মাঠের মধ্যে কেবল ঢুকেছে আমিন অমনি শুরু হলো বৃষ্টি । দ্রুত বাড়ি ফেরার জন্য চলার গতি বাড়ালো সে। বেশ ঢল শুরু হয়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাট ভিজে একাকার এরমধ্যেই। হঠাৎ করে কিসের সাথে যেন পা বেঁধে গিয়ে রাস্তার মধ্যে আছড়ে পড়লো সে। উঠতে যাবে হঠাৎ যেন কেউ পেছনে থেকে ডাকলো ওকে,
– আমিন্না!
ভয়ে আতঙ্কে জমে গেলো আমিন। উঠার শক্তি যেন হারিয়ে গেলো কোথায়।
– কেও?
মাটিতে পড়ে থেকেই ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো সে।
– চিনবার পারসনাই?
– ব… বশির ভাই তুমি?
খানিকটা সময় আর কোন উত্তর আসেনা। ভয়ে চোখ বন্ধ করে মাটিতেই পড়ে থাকে আমিন। বৃষ্টির ঢলে ভিজে একাকার। ঠাণ্ডায় আতঙ্কে ঠক ঠক করে কাপতে থাকে সে।
– হ! আমারে মিছা ডর খাওয়াইয়া মারলি কেন আমিন্না?
একটু পরেই আবার স্বরটা ভেসে আসে। এবার যেন খুব কাছ থেকে। ঠিক যেন আমিনের পাশে এসে বসেছে কেউ।
চিৎকার করে উঠে আমিন। প্রচন্ড গতিতে বৃষ্টি সাথে সাথে ভেসে এলো দমকা হাওয়া। শো শো বাতাসের শব্দে কোথায় যেন মিলিয়ে গেলো তার কণ্ঠস্বর! সেই বিকট শব্দ ভেদ করে করে যদি কারো শোনার ক্ষমতা থাকতো তাহলে শুনতে পেতো আমিন চিৎকার করে বলছে,
– বিশ্বাস করো বশির ভাই, আমি মজার করবার নিছিলাম… আমি ইচ্ছা করে করিনাই!