এ দিনে কোরবানি ও সালাত একত্র হয়, যা ঈদুল ফিতরের সালাত ও সদকাতুল ফিতরের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। জিলহজ্জ্ব মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত ৩দিন ধরে ঈদুল ঈদুল আযহা চলে।
কোরবানির আগে করণীয়ঃ
১. কেনার সময় লক্ষ্য রাখবেন, কোরবানির পশুর চামড়ায় কোনো গভীর ক্ষত বা দাগ যেন না থাকে।
২. ঈদের দিন সকাল থেকেই পশুকে শক্ত খাবার নয়, বেশি করে পরিষ্কার তরল খাবার খাওয়ান, এতে কোরবানির পর চামড়া ছাড়ানো সহজ হবে।
৩.পশু কোরবানির জন্য দক্ষ লোক নিয়োগ করুন। নাহলে অর্ধ জবাইকৃত গরু ঝাড়া দৌড় দিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
৪. কোরবানির জন্য শোয়ানো অবস্থায় পশুটিকে যেন টানাহেঁচড়া না করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
৫. কোরবানির পশু জবাই করার কাজে বড় ছুরি ও চামড়া ছাড়ানোর কাজে ধারালো, ভোঁতা মাথা ছুরি ব্যবহার করবেন।
কোরবানির পরে করণীয়ঃ
১. লক্ষ্য রাখবেন পশুর ধমনী যাতে পুরোপুরি কাটা যায় ও পশু জবাইয়ের পর ব্লিডিং শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।
২. কোরবানির জায়গাটি যেন খোলামেলা হয় আর রাস্তার কাছাকাছি হলে বর্জ্যের গাড়ি পৌঁছানো সহজ হবে।
৩. কোরবানির পর পশুর রক্ত ও তরল বর্জ্য খোলা স্থানে রাখবেন না, এগুলো গর্তের ভেতরে পুঁতে রাখবেন, নাহলে রক্ত আর নাড়িভুঁড়ি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়াবে।
৪. যে সব এলাকায় গাড়ি পৌঁছানো সম্ভব নয় বা দেরি হয়, সেসব স্থানে বর্জ্য পলিথিনের ব্যাগে ভরে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন।
৫. মনে রাখবেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য নিজের উদ্যোগে পরিষ্কার করাই উত্তম!
সবার ঈদ কটুক আনন্দে ও ভালবাসায়।
ঈদ মোবারক।