বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার-সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে, এ পর্যন্ত চার লাখের মতো রোহিঙ্গা-শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং এর সাথে আরো চার লাখ যোগ হওয়ার আশংকা রয়েছে। রেহিঙ্গা-বিষয়ক জটিলতা, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমানা ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে নানারকম শংকা-আশংকার জন্ম দিচ্ছে। লিবিয়া-সিরিয়া-ইয়ামেনী উদ্বাস্তুদের জীবন-যুদ্ধের উপসংহার পর্ব দেখায় অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে ওঠেছেন বিশ্ববাসী। তম্মধ্যে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা-শরণার্থীদের অনিশ্চিত ও মানবেতর জীবন প্রত্যক্ষ করছে বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-যুদ্ধের সময় শরণার্থী হওয়া এক কোটি বাংলাদেশী, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয় ও বিহারে আশ্রয় লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ৭ কোটি, বাংলাদেশী, শরণার্থীদের রাষ্ট্র-গৃহহীন অমানবিক জীবনের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হয়ত দেখে থাকবেন। ৪৫ বছর পর, ২০ কোটি বাংলাদেশী, রোহিঙ্গা-আশ্রয়প্রার্থীদের জীবনের তিক্ততার স্বরূপ দেখতে পারছেন। এই মুহুর্তে, এই শরণার্থীদের বাংলাদেশমুখী ঢল, বাংলাদেশকে গভীর সংকটে মুখোমুখি করেছে। সংকট-নিরসনে, জাতিসংঘ থেকে জাতিগতসংঘগুলোর অবস্থান স্পষ্ট নয়। মিয়ানমারে জাতিনিধন বন্ধ করতে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের অধিবেশনে বক্তৃতা ছাড়া আর কোন প্রকার সক্রিয়তা ছিল না।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সহিংসতায় নিন্দা- ধন্যবাদসহ ত্রাণ-সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ত্রাণ সংগ্রহ ও ত্রাণসামগ্রী দানের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ, বিষয়টিকে আরো গোলমেলে করা হচ্ছে। একদিকে, বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মত বাংলাদেশের রাজনীতিতে দলভিত্তিক দোষারোপ করার ধারায় পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান করছে সরকারের স্বপক্ষে-বিপক্ষে। এরকম বিপর্যয়েও, অং সান সুচি,র নোবেল কেড়ে নেওয়া এবং বাংলাদেশের প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নোবেল প্রদান করার আলোচনায় ভরপুর।
বিবিসি বাংলা’র সংবাদে প্রকাশ যে, সম্ভবত ২৫ আগস্ট, মিয়ানমার-সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা পুরুষদের হত্যা, শিশুদের জবাই ও নারীদের ধর্ষণ করাসহ পাশবিক নির্যাতন ও বিতাড়ন শুরু করে। ফলে, সীমান্ত পেরিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হচ্ছে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য হচ্ছে। নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইলেও, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক টানাপোড়েনে, সমস্যাটি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার লাগাতার খবর-সংবাদ হয়েই থাকছে।
কোন বিশেষ ঘটনার সংবাদ-মূল্য রয়েছে। যেমন: মিয়ানমারের যুদ্ধাস্ত্র-যুদ্ধবিমান-যুদ্ধজাহাজ ইত্যাদির সচিত্র বিবরণ প্রচার করেছে। একটা ঘটনায় যদি ২৪ ঘন্টা চলে, তাহলেই বরং লাভ। কোন এক ভবনে আগুন লাগার ঘটনার লাইভ টেলিকাস্ট চলে টানা দিন-রাত। হলিউড-অভিনেত্রী, তুরস্কের ফার্স্ট লেডিসহ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের নারীদের মধ্যেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও আলোচনার সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া, ইস্যুশক্তির কেন্দ্রে রয়েছেন, বাংলাদেশের শেখ হাসিনা ও মিয়ানমারের অং সান সুচি। রোহিঙ্গা শরণার্থী রুখতে, ভারতে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মানতে নারাজ, মমতা বন্দোপাধ্যয়ও কৃতিত্বের দাবী রাখছেন। শেখ হাসিনা বলছেন- রোহিঙ্গা শরণার্থী; সুচি বলছেন- মুসলিম টেররিস্ট, সংখ্যায় ৮০০ জনের মত এবং এরপর আর কথা চলে না, শুধু নিধন চালানো যায়। অভিনেত্রী বলেন- সহিংসতা।
জাতিসংঘ মহাসচিব, রোহিঙ্গা সংকটের অবসান করতে অং সান সুচিকে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু, সুচি জাতিগত নিধনের কথা অস্বীকার করে, রোহিঙ্গারা পালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। গৃহবন্দী থাকাকালীণ সময়ে অং সান সুচি সারা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের ভালবাসা ও সহমর্মিতা আদায় করে নেন এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। সাধারণ মানুষেরা, এমন মহান ব্যক্তির নিকট উক্ত রাজনৈতিক-স্থুলতা আশা করে নি। এদিকে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দান করায় শেখ হাসিনাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের দাবী বাংলাদেশীদের বাতুলতা সংগতিহীন হয়ে ওঠছে।
নতুন সহস্রাব্দের নতুন আতংক, আল-কায়দাকে দমণের পর আইএসআইএস, ব্রাদারহুড, মিলিশিয়াসহ বিভিন্ন নামের জঙ্গি গ্রুপের আবির্ভাব ঘটে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, আকস্মিক হামলার ঘটনায় আতংক বাড়ছে। উক্ত জঙ্গী গ্রুপ বা জঙ্গি ব্যক্তিত্ব কোথা হতে নির্গত হয়, তা জানা সম্ভব হয় না। হামলাকারীদের অনেকেই নিহত ও বন্দী হয়েছেন; মৃতদের পরিচয় পাওয়া সহজ নয়, আর জীবিত বন্দীদের শেষ অবস্থান জানা যায় না। জঙ্গি মোকাবেলায়, ১৬ বছর ধরে গুলি আর বোমার আঘাতে প্রকম্পিত হতে দেখা যায় এবং মানুষ এজন্য মূল্য দিচ্ছে। অন্যায় যুদ্ধের শিকার হওয়া মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী। কোটি মানুষ পালিয়ে যায়, শরণার্থী হয়, ত্রাণপ্রার্থী হয়ে দয়াপরবশ আলোচনার খবর হয়।
পূর্বে উল্লিখিত, বিশিষ্টজনদের চোখে ও মুখে রোহিঙ্গারা, শরণার্থী-মুসলিম টেররস, ক্ষুদ্র-জাতিগোষ্ঠী এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে- বাঙালি। কারো দৃষ্টিতে, রোহিঙ্গাদের ‘মনুষ্যরূপ’ পরিচয়টি ফুটে ওঠছে না। এই সংকটের প্রতিক্রিয়ায় সরাসরি ভোগছে বাংলাদেশ এবং কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা অনিশ্চিত। আল-কায়দা নিধণের যুদ্ধে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বোমা হামলা করে মার্কিন-ন্যাটো’র বিমান। দেশীয় বিচ্ছিন্নতাকামী-সন্ত্রাসী, ধরতে শক্তিশালী রাষ্ট্র কর্তৃক সীমান্ত লংঘনের সশস্ত্র ঘটনাও কম নয়।
ইতোমধ্যে, মিয়ানমারের অস্ত্র-যন্ত্র ভান্ডারের সমৃদ্ধির সংবাদ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। আশংকা অমূলক নয় যে, আরব বসন্তের কাল শেষ হয়ে আসছে। ঋতুচক্রের মত এশিয়ার অন্যান্য দেশে ওই বসন্ত দেখা দিচ্ছে। ইরাক, সিরিয়া, ইয়ামেন হতে আইএস পিছু হঠছে। ফিলিপাইন-সেনাবাহিনী, সম্প্রতি আইএস মোকাবেলায় যুদ্ধ করছে। তিব্বত, পাকিস্তান, কাশ্মীর, ভারতে বিচ্ছিন্নতাকামী-বিদ্রোহী ও সশস্ত্র সংগঠনের কর্মকান্ড রয়েছে। বাংলাদেশেও ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে, অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়েছে, বিচার ও মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে।
বহুমুখী আশংকা থাকলেও, বাংলাদেশের সকল শ্রেণির মানুষ সবচেয়ে বেশী আলোড়িত; নিজেদের ইস্যুপ্রিয়তার কারণে। সাম্প্রতিক, প্রধান আলোচ্য বিষয়- রোহিঙ্গা ইস্যু এবং তৎসংলগ্ন বিষয়াদি। এরপর রাখাইন রাজ্য, রোসাঙ্গ রাজা, রাজদরবারের সাহিত্য, অং সান, সুচির পিতা-পুত্র-স্বামী, নোবেল পাওয়া-কেড়ে নেওয়ার ঘোষণা ইত্যাদির আলোচনা। স্বাধীনতার পর, লাগাতার বেসামাল পরিস্থিতিতে পতিত বাংলাদেশের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ব্যর্থতা কাটিয়ে সফলতার পথে উত্তরণের উপায় অনুসরন করার বিপরীতে পুনঃপুনঃ প্রতিক্রিয়াশীলতার চর্চা, ব্যক্তিবিশেষের আত্মতুষ্টি লাভের সুযোগ করে দেয় বাংলাদেশ।
অতীত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর হতে এভাবেই হাটছে বাংলাদেশ। অপ্রাসঙ্গিক হলেও উল্লেখ্য, নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, স্বাধীন-বাংলাদেশের মন্ত্রীসভায় আসীন হয়েছিল। মিলেনিয়ামের পর ২০০১ হতে ২০০৬-০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্ষমতা ছিল দলটির নিয়ন্ত্রণে। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদে ফিরে আসে; পরবর্তী জাতীয় সকল নির্বাচনে দলটি জাতীয় সংসদে আসন লাভ করে আসছিল। ‘৭৫ পরবর্তী পনের বছর পর ‘৯০ এর গণ-অান্দোলনে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের গনতন্ত্র মুক্তি পায়, নতুন চেতনায় ভরপুর বাংলাদেশ।
১৯৯১ সালে সকল দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের সরকারী হিসাবে, পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে, বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী, ১৮টি আসন পায়। প্রাপ্ত ভোটের হিসাবে যা, ১২% ভোট বা ৪১ লক্ষাধিক, ভোটার দলটিকে সমর্থন করেন। একইসাথে, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় ও স্বীকৃত মক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার প্রকাশ্য-বিরোধি দল একই নির্বাচনী যুদ্ধে কখনো মিত্র, কখনো শত্রুপক্ষে অবস্থান করছিল। বাংলাদেশীদের, জাতীয় স্ববিরোধিতা, হঠকারিতা ও মতিচ্ছন্নতার লক্ষণ স্পষ্টভাবে দেখা যায়। ১৯৯১ এর সংসদ নির্বাচনের ফলাফল-সরকার গঠন- জামাতে ইসলামীর রোষাণলে পতিত হওয়ার ঘটনাবলী ছিল নির্মম। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক নির্যাতনে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫ জনকে হত্যা, ২৬০০ নারী ধর্ষণের শিকার, আহত ১০ হাজার, ২ লক্ষ মানুষ গৃহহীন, ৩৬০০ মন্দির ধ্বংস, ৫০ হাজার ঘর-বাড়ি-দোকান জ্বালিয়ে, ৪০ হাজার বাড়ি দখল। রোহিঙ্গা নিধনের ঘটনা সেনাবাহিনী কর্তৃক ঘটনা; তুলনামূলকভাবে, বাংলাদেশে অধিক মাত্রার নির্যাতন করার ক্ষমতার সাক্ষ্য রেখেছে জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরা।
দশ দিনে উক্ত পরিমাণ সংখ্যালঘু-নির্যাতনের পরিসংখ্যান বিশ্বে খুব কমই আছে। ২০০১ এর পর জামাতে ইসলামীকে মন্ত্রীত্বের আসনেও দেখা যায়। সরকার বদল হলেও, আজ পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে লাগাতার চলছে উচ্ছেদ-হত্যা-ধর্ষণ-পুকুর চুরি-লংকাকান্ড। কেউ দেখে, অনেকেই দেখে না।পুরোপুরি অন্ধ হলেও রোহিঙ্গা আলোচনা হাতিয়ে দেখার চেষ্টা তো করা যায়-রোহিঙ্গা কি?।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যায়ও বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন মিটিং-মিছিল-ঘেরাও-যুদ্ধের ডাক চলছে। এখানে, ‘মানুষ’-র চেয়ে বড় করে দেখা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ধর্মীয় পরিচয় ও ইস্যুমূলক আচরণকে। তাই, মানবিক অনুভূতিতে ন্যায়সঙ্গত কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। ইস্যু প্রিয় বাংলাদেশীরা এখন আলোচনায় রোহিঙ্গাকাতর। ব্যাংকিং-দুর্ঘটনা, শিক্ষিকা ধর্ষণের বিচার, বাংলাদেশের সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর দিকে তাকাবার সময় নাই। ধর্ষণ-লুণ্ঠন-বণ্টণ কাহিনী আপাতত স্থগিত; পরে দেখা যাবে। অসময়ে, রোহিঙ্গাদের এই অযাচিত, দূরাবস্থা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক-পরিবেশিক-নাগরিক পরিস্থিতিকে জটিল করতে পারেনি। বাংলাদেশ এখন রোহিঙ্গা দেখছে।
১২ শতক বা প্রাচীন মধ্যযুগ হতে মিয়ানমারে জাতিগত বিভ্রান্তির শুরু হয়। ১৭৮৪ সাল থেকে নাকি রোহিঙ্গা-মুসলমান জাতিগত সমস্যা বিদ্যমান। তাই, মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীর একাংশ রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার, উচ্ছেদ, বিতাড়ন এর ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শরণার্থী হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেবার ঘটনা বহুল ঘটিত বিষয়।
ভারতেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থান রয়েছে। তবে, এবার রোহিঙ্গা ঘটনাটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। লক্ষ-লক্ষ শরণার্থীর চাপে বাংলাদেশ। বাংলাদেশমুখি রোহিঙ্গাদের ঢল সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অথচ, কোন কোন সময়, কোন কোন রাষ্ট্রের উগ্রতা দমন করতে আন্তর্জাতিক সংঘ কর্তৃক সামরিক ও কুটনৈতিক হস্তক্ষেপ করার নজীর আছে। কিন্তু, মিয়ানমারের ওপর হস্তক্ষেপের কেউ নাই। বিশ্ব-রাজনীতি, ভূ-আঞ্চলিক ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতি ইত্যাদি পুরস্কার-লাভ-ক্ষতি-ধ্বংস ইত্যাদিতে পর্যবসিত হয়েছে। সবাই অন্যের দিকে তাকিয়ে থেকে কিছু লাভ করার চেষ্টা করছেন।
তাহলে বলা যায়- নোবেলং শরণং গচ্ছামি; ক্ষমতাং শরণং গচ্ছামি; সংঘং শরণং গচ্ছামি।