আধুনিক নাপোলি শহরের কাছে বহুকাল আগে পম্পেই নামে এক প্রাচীন শহর ছিল।
ধারনা করা হয় প্রাচীন এই শহরটির গোড়াপত্তন হয় খৃীষ্টপূর্ব ৬-৭ শতাব্দী’র দিকে তৎকালীন মধ্য ইতালীর রাজা ওসকানের হাত ধরে।
শহরটি একপাশ ঘিড়ে ছিল প্রাচীন হারকুলেনিয়াম শহর আর অপর পাশে ষ্ট্যাবি।
শহরটি ধীরে ধীরে প্রাচীন কালের আধুনিক সভ্যতার সকল ধরনের চিত্তরঞ্জনের জন্য প্রানবন্ত একটি শহরে পরিনত হয়ে উঠে
আর তাই বেশ আনন্দ আর হৈ হুল্লোরেই দিন কাটছিল এই শহরের বাসিন্দাদের। কিন্তু একদিন…
হঠাৎ শহরের অধিবসীদের উপর প্রকৃতির নির্মম দুর্যোগ নেমে আসে।
শহরের পাশেই অবস্থিত ভিসুভিয়াস পর্বতের আগ্নেয়গিরির দুই দিনব্যাপী সর্বনাশা অগ্নুৎপাত পম্পেই নগরীকে ৬০ ফুট উঁচু ছাই এবং ঝামাপাথরের নিচে পাঠিয়ে দেয়।
ফলে পম্পেই শহরসহ শহরের ২০ হাজার অধিবাসী দিনে দুপুরে মাত্র অল্প কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রায় ২০ ফুট আগ্নিয় লাভা আর ছাইভষ্মের নিচে বিলিন হয়ে যায়।
এরপর ধীরে ধীরে এক সময় পুরো শহরটিই বিলীন হয়ে যায় মানুষের মন থেকে।
ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে একটি খাল খননের সময়ে আর্কিটেক্ট দোমেনিকো ফনতানা পুনরায় এই শহরটী খুঁজে বের করেন এবং ধীরে ধীরে মানুষ আবার এই অভিশপ্ত শহর ও অসহায় শহরবাসীদের কথা জানতে পারে।
মতামত জানান