ঘ্রান রহস্য

পাশের বাসায় সারা দিন যেন কি সব রান্না করে।
সারাক্ষণই ছ্যাঁক ছোক শব্দ শোনা যায় আর মন মাতানো লোভনীয় ঘ্রান ভেসে
আসে।
কি রান্না করে কে বলবে ?
বিকেলে যখন হাঁটতে বের হই তখন আলেকজান্ডার বেকারির সামনে গেলেও
মনটা ভাল হয়ে যায়।
পাউরুটির ঘ্রানে মৌ মৌ করে বেকারির চারিদিকটা।
বাড়ি ফেরার পথে মস্ত একটা পাকুড় গাছের নীচে ঝুপসি মত একটা চায়ের দোকান
আছে। মস্ত বড় কেটলিতে চায়ের পাতা ফুটছে। চায়ের সৌরভে কেমন একটা আমেজ।
মনে হয় গিয়ে বসি দোকানে। হলুদ রঙের কার্তিকের দুপুরে এক পেয়ালা চা আয়েস করে পান করি ।
তোমরা কি জানো যে কোন জিনিসের স্বাদ বুঝার জন্য ঘ্রান নেয়া কত দরকার ?
নাকের ভূমিকা কত বেশি ?
একটা সহজ আর পিচ্চি পরীক্ষা করে এটা প্রমান করা যায়।
তবে এই পরীক্ষার জন্য সহকারী লাগবে।
আমি আমার ছোট ভাই আর বাসার কাজের ছেলে রাজ্জাককে ডেকে নিলাম।
ওদের না দেখিয়ে আগে থেকে একটা আপেল আর একটা আলু ফালি করে কেটে
পিরিচে রেখে দিলাম।
এবার ছোট ভাই আর কাজের ছেলে রাজ্জাকের চোখ বাঁধলাম । ওদের বললাম নিজের
নাক চিপে বন্ধ করে ধরতে। এবার আমি একবার আপেলের ফালি খেতে দিলাম।
পরের বার আলুর ফালি দিলাম।
এরা কেউ বুঝতে পারলো না কি খাচ্ছে।
পরীক্ষাটা যখন তুমি করবে অবাক হয়ে দেখবে- চোখ আর নাক বন্ধ করে কেউই খাবারের সঠিক নাম বলতে পারছে না। এই পরীক্ষা আরও অন্য খাবার দিয়ে করে দেখ।
সবাই ভুল করবে।

তোমার সহকারীরা যখন চোখ বন্ধ করে নাক খোলা রেখে খাবারের স্বাদ নেবে তখন কিন্তু ঠিকই ধরতে পারবে কি খাচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, নাকের মানে ঘ্রানের সাহায়্য না নিলে আমাদের মুখ স্বাদের মধ্যে কোন তফাৎ ধরতে পারে না।